ফেসবুকে লাইভে মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা


প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

থাইল্যান্ডে এক ব্যক্তি নিজের মেয়েকে হত্যার দৃশ্য ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের পর আত্মহত্যা করেছেন। থাই পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর সোমবার পুকেতের একটি হোটেলে ২১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি নিজের মেয়েকে হত্যা করেন এবং এই দৃশ্য ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। পরে নিজেও রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

বিভৎস এই ঘটনার জন্য নিহতের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানিয়েছে ফেসবুক। এছাড়া ফেসবুক থেকে ওই হত্যার ভিডিও সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে হত্যার ফুটেজ অনলাইনে কয়েক ঘণ্টা ধরে ছিল। পরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় ফেসবুকের ভিডিও নীতিমালা নিয়ে। এর জেরে মার্কিন এই কোম্পানি ফেসবুকের নীতিমালা পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতি দেয়।

তবে থাইল্যান্ডের এই হত্যার দৃশ্য ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিবিসি এ বিষয়ে ইউটিউবকে সতর্ক করে দেয়ার পর তা সরিয়ে নেয়া হয়।

নিহত ওই থাই ব্যক্তির স্বজনরা ফেসবুক লাইভে ওই ঘটনা দেখার পর পুলিশে খবর দেন। কিন্তু ততক্ষণে সময় একটু বেশিই পেরিয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও জীবিত উদ্ধার করতে পারেননি ওই ব্যক্তি ও তার মেয়েকে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি নির্মাণাধীন ওই হোটেলের ছাদ থেকে তার মেয়ের গলায় রশি বেঁধে দেন; পরে মরদেহ উত্তোলন করেন।

মুহূর্তের মধ্যেই ফেসবুকে লাইভ হত্যাকাণ্ডের এ ফুটেজ থাই গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এক বিবৃতিতে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, এটি একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ফেসবুকে এ ধরনের কনটেন্টের কোনো জায়গা নেই। এটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিবিসি জানানো পর ১৫ মিনিটের মধ্যে ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ইউটিউব।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।