জাতিসংঘের নারী অধিকার কমিশনে সৌদি আরব


প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

জাতিসংঘের নারী অধিকার কমিশনে নির্বাচিত হয়েছে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের অতি সংরক্ষণশীল এই দেশটি নারী অধিকার কমিশনে নির্বাচিত হওয়ায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

জাতিসংঘের তথ্য অনুয়ায়ী, নারী অধিকার নিয়ে কথা বলা, সারাবিশ্বে নারীর জীবনকে তুলে ধরা, লৈঙ্গিক সমতা ও বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়নের মানদণ্ড তুলে ধরতে জাতিসংঘের একটি প্যানেল কাজ করে থাকে। বর্তমানে সৌদি আরব সেই প্যানেলের ৪৫ দেশের একটি নির্বাচিত হয়েছে।

তবে অতি-রক্ষণশীল ইসলামি রাষ্ট্রের মধ্যে পুরুষ ও নারীর মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে যে রাষ্ট্রীয় নীতি থাকে এখানে সেটা সম্পর্কিত নয়। জাতিসংঘের সচিব হিলেল নেউয়ার বলেছেন, সৌদি আরবের প্রত্যেক নারীর একজন পুরুষ অভিভাবক আছেন; যিনি ওই নারীর জীবনের সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেযন।

এমনকি সেই নারীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পুরো জীবন নিয়ন্ত্রণ করে ওই অভিভাবক। নারীদের গাড়ি চালানো থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে দেশটিতে।

সৌদি আরবকে নারী অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচিত করার বিষয়টি অনেকটাই অগ্নিসংযোগকারীকে শহরের আগুন নেভানোর দায়িত্ব দেয়ার মতোই বলে মনে করেন নেইয়ার। বিষয়টাকে অদ্ভুত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমপক্ষে পাঁচটি দেশ গোপন ভোটের মাধ্যমে সৌদির জন্য চার বছরের জন্য কমিশন গঠন করেছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির সাবেক প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এ পদক্ষেপকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।

টুইটারে নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্লার্ক বলেন, ‘যারা নারীদর পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন তাদের সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ। সবই পরিবর্তন হয়, একটু ধীরে ধীরে এই আর কি।’

গত মার্চে সৌদি আরব প্রথমবারের মতো নারী কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। পরে ওই অনুষ্ঠানের একটি একটি ছবিও প্রকাশ করে আয়োজকরা। নারীদের নিয়ে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে ১৩ জন পুরুষকে দেখা গেলেও সেখানে কোনো নারীকে দেখা যায়নি। ওই সময় আয়োজকরা জানান, নারীরা ওই অনুষ্ঠানে ছিল; তবে পৃথক ঘরে।

সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

কেএ/এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।