৫ বছরে ৬ লাখ লিটার রক্ত নষ্ট ভারতে


প্রকাশিত: ০৭:৩৮ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

ভারতের ব্লাড ব্যাংকের পরিচালনা পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে গত পাঁচ বছরে ২৮ লাখ ইউনিট রক্ত ও রক্তের অন্যান্য উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ভারতের বর্তমান জনগোষ্ঠী ১.২ বিলিয়ন। প্রতিবছর দেশটিতে ১২ মিলিয়ন ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। চাহিদার বিপরীতে দেশটিতে সংগ্রহ করা যায় মাত্র নয় মিলিয়ন ইউনিট রক্ত। আরও তিন মিলিয়ন ইউনিট রক্তের অভাব থেকেই যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর শুধুমাত্র এনআরসিতেই এক লাখ ইউনিট রক্তের ঘাটতি দেখা যায়।

ব্লাড ব্যাংক ও হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয়হীনতার ফলে লাল রক্ত কণিকা, রক্তরস মেয়াদোত্তীর্ণের পূর্বে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।

রক্তের চারটি প্রধান উপাদান প্লাজমা, লাল রক্ত কোষ, সাদা রক্ত কোষ, এবং প্ল্যাটলেটের প্রতিটিতে বিভিন্ন ফাংশন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়ার জন্য লাল রক্ত কোষগুলি কার্যকরী ভূমিকার পালন করে। রক্তের তরল অংশ রক্তরস শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল রক্ত কণিকা, প্লেটলেট এবং অন্যান্য কোষগুলি স্থানান্তর করে থাকে। কারও শরীর থেকে রক্ত নেয়ার পর প্লাজমা প্রায় একবছর হিমায়িত করে রাখা যায়। রক্তক্ষরণ বন্ধের জন্য প্লেটলেটগুলোর প্রয়োজন পড়ে।

রক্ত, রক্তরস বা প্লেটলেটের সঙ্কটে প্রায়ই দুর্ঘটনায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ এবং মাতৃমৃত্যুর ঘটনা দেখা দেয়। ওই রিপোর্টে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণটাক এবং তামিলনাড়ুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ ও কর্ণাটক লাল রক্ত কণিকার অপচয়ে শীর্ষ তিনে অবস্থান করছে। উত্তর প্রদেশ ও কর্ণটাকে তাজা হিমায়িত রক্ত নষ্টের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

রক্তের উৎসের ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ৭৯ টি নতুন ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশ, জে এন্ড কে, ছত্তিশগড় এবং অন্ধ্র প্রদেশে রক্ত দেওয়া যাবে।

কেএ/টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।