নেপালের ভয়াল ভূমিকম্পের ২ বছর


প্রকাশিত: ০৪:৪২ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

দুই বছর আগে আজকের এই দিনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। আহত হয়েছিল আরো ২২ হাজার মানুষ।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ। ভূমিকম্পের পর গ্রামাঞ্চলে যেসব বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছিলো, মানসম্মত না হওয়ার কারণে তার অর্ধেকেরও বেশি পুনরায় নির্মাণের কথা ভাবছে পুনর্গঠন বিষয়ক সংস্থা।

nepal

কর্তৃপক্ষ বলছে, আইন কানুন অমান্য করে এসব বাড়িঘর তৈরি করা হয়েছে। ফলে জাতীয় পুনর্গঠন কর্তৃপক্ষ এখন এ বিষয়ে নতুন কিছু নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে।

nepal

ভূমিকম্পের দুই বছর পূর্তির প্রাক্কালে কর্তৃপক্ষ নিরাপদ বসতি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে পুনর্গঠনের কাজও চলেছে খুব ধীর গতিতে। কর্মকর্তারা বলছেন, ভূমিকম্পে প্রায় আট লাখ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ২২ হাজার বাড়ি পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন করে যেসব বাড়িঘর তৈরি করা হয়েছে তার অনেকগুলোই অত্যন্ত নিচু মানের।

nepal

জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থার প্রধান গোভিন্দ রাজ পোখারেল জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর গ্রামাঞ্চলে যেসব বাড়িঘর তৈরি করা হয়েছে তার অনেকগুলোই আবার বড় রকমের ভূমিকম্প হলে টিকে থাকতে পারবে না।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব বাড়িঘরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে তারা সরকারের প্রতিও আহবান জানিয়েছেন।

nepal

ওই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো সিন্ধুপালচোক এবং গোরখা জেলা। ভূমিকম্পের পর বহু মানুষ নিখোঁজ হয়। অনেকেই তাদের স্বজনদের শেষ দেখাটুকুও দেখতে পাননি। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের স্মৃতি আজও তাড়া করে বেড়ায় নেপালবাসীকে। ভূমিকম্পে দেশের বহু প্রাচীন স্থাপণা ধ্বংস হয়েছে। এসব স্থাপনা নতুন করে তৈরি করাও সম্ভব নয়।

nepal

ভূমিকম্পের পর থেকে সিংগাপুর রেড ক্রস (এসআরসি) স্কুল, মোবাইল ক্লিনিক, হেলথ ক্লিনিকসহ জরুরি সুবিধা প্রদান করেছে। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ২৮টি কাঠামো নির্মাণে সহায়তা করেছে। এছাড়া আরো ৩২টি পুনর্নির্মাণ প্রকল্প নির্মাণাধীন রয়েছে।

সিংগাপুর সরকার এবং দেশটির জনগণের যৌথ অনুদানে প্রায় ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এসব প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প নেপালের প্রায় ১ লাখ মানুষকে সহায়তা প্রদান করবে।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।