গরুকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার প্রস্তাব ভারতের!
গো-হত্যা ও বাংলাদেশে পাচার ঠেকাতে ভারতে গরুকে আধার কার্ডের মতো জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার প্রস্তাব করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার এ প্রস্তাব করেছে বলে বার্তাসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, ভারতে প্রতিটি গরু এবং এর বংশধরকে চিহ্নিত করার জন্য অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর দেয়া উচিত। একই সঙ্গে দুধ দেয়ার সময় গরুর বিশেষ যত্ন নেয়ারও সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। এছাড়া দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকদের জন্য একটি প্রকল্প চালুর ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
এএনআই বলছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চোলাচালান ঠেকাতে ও গরু সুরক্ষার বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেছে কেন্দ্র। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে গরু পাচার কমিয়ে আনতে প্রত্যেক জেলায় অন্তত ৫০০ গরুর ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গো-আশ্রয়কেন্দ্র থাকা উচিত।
এর আগে দেশটির জাতীয় দৈনিক দ্য ইকোনমিকস টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, গবাদি পশুর কানের ভেতর ১২ সংখ্যার অনন্য শনাক্তকরণ নম্বরসহ একটি ট্যাগ লাগাতে দেশটির পশুপালন বিভাগ প্রযুক্তিবিদদের নিয়োগ দিয়েছে। অন্তত এক লাখ প্রযুক্তিবিদকে এ কাজে নিয়োগ দেয়া হয়। গরুর কানের ভেতরে কীভাবে পলিইউরেথ্যান ট্যাগ লাগানো হবে সেবিষয়ে কাজ করাই এই প্রযুক্তিবিদদের লক্ষ্য।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, গরুর কানের লতিতে হলুদ রঙয়ের ওই ট্যাগ লাগানো হবে। নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ভারত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশটির অন্তত ৮ কোটি ৮০ লাখ গরু ও মহিষের কানে চলতি বছরেই এই ট্যাগ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হালকা ওজনের এই ট্যাগ প্রতি খরচ হবে মাত্র ৮ রূপি।
এসআইএস/আরআইপি