‘নতুন ভারত’ গড়তে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদেরও ডাকলেন মোদি
২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বপ্নের ‘নতুন ভারত’ গড়তে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদেরও ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পরেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে ২০২২ সালের ‘নতুন ভারত’ গড়ার কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল।
সেই সময় এ নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়। অনেকেই তখন বলতে থাকেন, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জয় নিয়ে কি তা হলে নিশ্চিত মোদি? সে কারণেই ২০২২-এর ‘রোডম্যাপ’ বানিয়ে এখন থেকে স্বপ্ন ফেরি করছেন?
আজ নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে দলমত নির্বিশেষে সব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই স্বপ্নই সামনে আনলেন মোদি। তিনি বলেছেন, সকলের মিলিত ‘টিম ইন্ডিয়া’ই পারে ২০২২-এর স্বপ্নপূরণ করতে।
তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগড়িয়াকে দিয়ে আগামী ৩ বছরের অ্যাকশন প্ল্যান, ৭ বছরের রণনীতি আর ১৫ বছরের ভিশনও পেশ করিয়েছেন ওই বৈঠকে।
এ দিন নীতি আয়োগের বৈঠকে নিজের প্রারম্ভিক বক্তৃতায় মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। বললেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিশ্চিত, সব মুখ্যমন্ত্রীর সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই গড়ে উঠতে পারে ‘নতুন ভারত’। আর সেটাই যে তার স্বপ্ন, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সমাপ্তি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক বৈষম্যের বিষয়টি মেনে নেন। তার কথায়, ‘অনেক মুখ্যমন্ত্রীই আঞ্চলিক বৈষ্যমের কথা তুলেছেন। আমি এই বিষয়ে একমত। জাতীয় স্তরে ও রাজ্যগুলির মধ্যে বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।’ কেন্দ্র যে সব কিছু একতরফা ভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে না, তা বোঝাতে একগুচ্ছ প্রকল্পের উল্লেখ করে মোদীর দাবি, রাজ্যের মত নিয়েই তিনি ওই সব প্রকল্প করেছেন।
একই সঙ্গে মোদি জানু-ডিসেম্বরকে অর্থ বছর হিসেবে ধরার আহ্বান জানান। তার মতে, এতে করে বাজেট তৈরি সহজ হবে। ভারতে বর্তমানে এপ্রিল-মার্চ মাসে অর্থ বছর ধরা হয়।
টিটিএন/পিআর