ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের পুঁতে রাখা মাইনে নিহত ৭০০


প্রকাশিত: ০৮:০৮ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৭

হুতি বিদ্রোহী এবং ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহের যোদ্ধারা ইয়েমেনের প্রায় পাঁচ লাখ স্থানে মাইন বোমা পুঁতে রেখেছে। ইয়েমেনি সরকার ও সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, এ ধরনের বিস্ফোরক পুঁতে রাখা মানবতাবিরোধী অপরাধ হওয়ার পরও তারা এর ব্যবহার করেছে। হুতিদের পুঁতে রাখা এসব মাইনের আঘাতে ইতোমধ্যেই ৭শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। খবর আরব নিউজের।

সরকারি বাহিনীর অগ্রগতি রুখতেই বিশেষ বিশেষ এলাকায় মাইন পুঁতে রেখেছিল হুতিরা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শত শত বেসামরিক মানুষ মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। শহুরে এলাকায় যুদ্ধের বিস্তারের কারণে নিহতের এই সংখ্যা দিন দিন অারও বাড়ছে।

এডেনের ন্যাশনাল মাইন অ্যাকশন সেন্টারের পরিচালক ও সামরিক অঞ্চলে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের প্রধান কর্নেল হায়থাম হালুব জানান, বিদ্রোহীরা অযথাই হোমোমাডম বোমা এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্কার মাইনগুলো পুঁতে রেখেছে। গত বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশটির প্রকৌশলীরা ৩১ হাজারের অধিক মাইন নিষ্ক্রিয় করেছে।

আরব ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, হুতিরা ইয়েমেনে পাঁচ লাখের বেশি মাইন পুঁতে রেখেছে। মাইন বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত সাতশর বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আরর প্রকৌশলীরা এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার মাইন নিষ্ক্রিয় করেছেন বলেও তথ্যও উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।

জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পুঁতে রাখা মাইন নিষ্ক্রিয় করতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সহযোগিতা চেয়েছে ইয়েমেন সরকার।

সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিকভাবেই মাইন নিষিদ্ধ। এটা জীবনের জন্য হুমকি, বেসামরিক নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা তৈরি করে। আর মাইনগুলো খুঁজে পাওয়াও বেশ জটিল; কারণ সেগুলো পুঁতে রাখার কোনো নকশা নেই।

কেএ/টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।