তুরস্কের গণভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করবে বিরোধী দল


প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত গণভোটের রায় চ্যালেঞ্জ করবে তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)। গণভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এরই মধ্যে দলটির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

রোববারের গণভোটে ৫১ শতাংশ হ্যাঁ ভোট পড়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের পক্ষে। জয়ের পর এরদোয়ান সমর্থকরা জয়োল্লাস করলেও গণভোটের ফলাফলের বিরোধিতা করে আসছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি।

হ্যাঁ ভোটের বিজয়কে প্রত্যাখ্যান করে সিএইচপি দাবি জানিয়েছে ৬০ শতাংশ ভোট পুনর্গণনার। সিল না পড়া ব্যালট বৈধ হিসেবে গ্রহণ করারও সমালোচনা করেছে দলটি।

তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা ও ইজমিরে সবগুলো না ভোট পড়েছে। শহরগুলোর রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় সমর্থকরা।

অন্যদিকে এরদোগানের সমর্থকরা পতাকা হাতে বিজয়োল্লাস করছে। এ বিজয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত এরদোয়ানের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়তে পারে।

Opposition

গণভোটে ৯৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ ব্যালট গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে হ্যাঁ ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ ও না ভোট পড়েছে ৪৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

ভোট চলাকালে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ দিয়ারবাকিরের ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। কীভাবে ভোট দেওয়া হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হওয়া সংঘর্ষে ওই তিন ব্যক্তি নিহত হন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর এই গণভোটের জয়ের ফলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতায় থাকবেন এরদোয়ান। তবে ২০১৯ সালে দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, তুর্কি প্রেসিডেন্টের এই গণভোটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।

সূত্র : বিবিসি।

কেএ/এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।