খাল দখলের পর ভাঙনের মুখে ব্রিজ


প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ায় বহমান খাল প্রভাবশালীরা দখলে রাখায় বাধ দিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে ব্রিজটি। এতে গত দু’দিনে ব্রিজের সংযোগ সড়কের মাটি সরে গেছে। তাই যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে বাধ দেয়া পাটাতন সরিয়ে নিয়েছে দখলকারী চক্রটি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের বসুন্দিয়া-জঙ্গলবাধাল সড়কে বুড়ি ভৈরব নদের কাটা খালের ওপর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি ভৈরব নদের সঙ্গে কাটাখালের সংযোগস্থলেই।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাস আগে ব্রিজের মুখেই কাঠের পাটাতনের বাধ দেয় আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ফলে নদ থেকে কাটা খালে পানি প্রবেশ একরকম বন্ধই হয়ে যায়। এরপর খালটিতে ধান চাষ শুরু করে ওই চক্রটি। কিন্তু দীর্ঘদিন খালের মুখ বন্ধ থাকায় পানির স্রোতে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার ব্রিজের গোড়ায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে আব্দুর রশিদসহ স্থানীয় চক্রটি ওইদিন কাঠের পাটাতন সরিয়ে নেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরিয়ে নেয়া কাঠের পাটাতন এখন আব্দুর রশিদের বাড়িতেই রয়েছে।

এদিকে, গত দু’দিনে ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ব্রিজটি এখন যেকোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী আনোয়ারুল আলম।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। একই সঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী একেএম শহিদুল হককে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, খালের মুখে বাধের কারণে জোয়ার-ভাটায় পানির চাপে ব্রিজের গোড়ার ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়ায় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিলের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এমজেড/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।