মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শীর্ষে চীন


প্রকাশিত: ০৬:১৪ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৭

২০১৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে চীনে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বুধবার জানিয়েছে কেবল চীনেই সারাবিশ্বের সমান সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মানবাধিকার সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের নথি ও সংবাদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

সারা বিশ্বে গত বছর মোট এক হাজার ৩২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই সংখ্যা ২০১৫ সালের চেয়ে ৩৭ ভাগ বেশি। এর মধ্যে ৮৭ভাগই কার্যকর হয়েছে চারটি দেশ ইরান, সৌদি আরব, ইরাক এবং পাকিস্তানে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় তথ্য প্রকাশে বেইজিং আদালতে অতি গোপনীয়তা রক্ষা ও সেই পরিসংখ্যান গোপন করার ফলে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান জানা যায় না। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়াদের মধ্যে বহু বিদেশি নাগরিকও আছে। আদালতের নথি থেকে হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ গোপন করার জন্য তথ্য লোপাট করায় কয়েকশ মৃত্যুদণ্ডের খবর অজানা থেকে যায়।

ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা গোপন রাখা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা বলে মনে করে।

অ্যামনেস্টির উত্তর-এশিয়ার পরিচালক নিকোলাস বেকুলিন হংকংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যাপারে একমাত্র চীনেই গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। সম্ভবত চীন তাদের দেশে এতো বেশি মৃত্যুদণ্ডের সংবাদ বিশ্ববাসীকে জানাতে চায় না।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৯শ ৩১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও দেশটির গণমাধ্যমে মাত্র ৮৫ জনের খবর উঠে এসেছে।

আদালতের রায় সার্বজনীন করার জন্য ২০১৩ সালে চীনের সুপ্রিম কোর্ট রুল জারী করে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার কথা বলে মৃত্যুদণ্ডের তথ্য গোপন রাখা হয়। তবে চীনের দাবি তাদের বিরুদ্ধে এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য মাত্র দুই মাস অপেক্ষা করা হয়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। ১৯৯১ সালের পর এটাই ছিল মৃত্যুদণ্ড প্রদানের সর্বনিম্ন হার।

কেএ/টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।