মিসরে গির্জায় হামলায় নিহত বেড়ে ৩৬, দায় স্বীকার আইএসের


প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

মিসরের সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের দুটি গির্জায় জোড়া বোমা বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে মিসরের এই হামলা সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৪০ জন। প্রাণঘাতী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, মিসরের তানতা ও আলেকজান্দ্রিয়ার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের পাম সানডে উৎসব উদযাপিত হচ্ছিল। দুটি গির্জায় প্রার্থনার জন্য প্রচুর জনসমাবেশ ঘটেছিল।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তানতার নিল ডেলটা শহরের সেন্ট জর্জের কপটিক চার্চে প্রথম বিস্ফোরণ হয়েছে। রাজধানী কায়রো থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরের এই বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছে।

নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, পাম সানডে উদযাপনের সময় এক ব্যক্তি গির্জার ভেতরে বিস্ফোরক ডিভাইস রেখেছিল। প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য জানা গেছে। তবে অন্য সূত্রগুলো বলছে, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী গির্জায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। গির্জার সামনের কাতারের দিকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।

প্রথম বিস্ফোরণের ঘণ্টা খানেক পরে আলেকজান্দ্রিয়ার মানশিয়া জেলার সেন্ট মার্কের কপটিক অর্থডক্স গির্জায় দ্বিতীয় হামলা চালায় এক আত্মঘাতী হামলাকারী। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে। বিস্ফোরণে আহত হয় আরো ৬৬ জন।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলেকজান্দ্রিয়ার গির্জায় বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল এক আত্মঘাতী হামলাকারী। তার আগেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে থামায়। এ সময় বিস্ফোরণে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হয়। বিস্ফোরণের সময় পোপ তাওয়াদ্রস দ্বিতীয় গির্জার ভেতরে থাকলেও তার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) মিসরের এই জোড়া হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইএস নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আমাক নিউজ অ্যাজেন্সি বলছে, তানতা এবং আলেকজান্দ্রিয়ার দুটি গির্জায় বোমা হামলায় আইএসের সদস্যরা অংশ নিয়েছে।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।