অবশেষে সাইফের সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা
পৈতৃক সম্পত্তি হারাতে যাচ্ছেন বলিউডের নবাব ও কাপুর পরিবারের জামাই সাইফ আলী খান। এ খবর পুরোনো। সম্প্রতি বিশেষ ষ্টেটের মালিকানা নিয়ে ভারতের মধ্য প্রদেশ সরকার ও পাতৌদি পরিবারের মধ্যে মামলা চলছিলো। মামলার নিষ্পত্তি সাইফ আলী খানের অনুকূলে না হলে হারাতে হতে পারে পূর্ব পুরুষদের গড়ে যাওয়া ধন দৌলত- এমনটাই ধারণা করা হয়েছিলো।
অবশেষে তাই হলো। আদালতের নির্দেশে বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ২ মাস আগে পতৌদি নবাবের ভোপাল এস্টেট নিয়ে কাস্টডিয়ান অব এনিমি প্রোপারটি অব ইন্ডিয়ার আওতায় মামলা করে সরকার। এতে পতৌদি পরিবারের সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পতৌদি পরিবারের বর্তমান উত্তরাধিকারী সাইফ আলীর এক আর্জির জবাবে নিষেধাজ্ঞা বহাল করে আদালত।
এবিপি আনন্দ জানায়, সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় ভোপালের ওই এস্টেট সরকারি জমির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এটা মানতে নারাজ নবাব পরিবার। সে কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সাইফ আলী।
পতৌদির এই এস্টেটের মধ্যে রয়েছে প্রাসাদ, কিছু বাড়ি ও কৃষিজমি। ১৯৬১ সালে এই বিশাল এস্টেটটি পান সাইফের দাদী সাজিদা সুলতান, যা এর আগে ছিল ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের অধিকারে। সাজিদা তার দ্বিতীয় সন্তান। সাজিদার বিয়ে হয় ইফতেখার আলীর সঙ্গে। ইফতেখার ছিলেন পতৌদি পরিবারের অষ্টম সন্তান। সেই সূত্রে এই বিশাল সম্পত্তির মালিক সাইফ।
১৯৬৮ সালে তৈরি একটি বিশেষ আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের পর মহারাজা বা নবাবদের সম্পত্তি রাজ্য সরকারের মালিকাধীন হয়ে যাবে। আর এই আইন অনুসারে নবাবদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ভারত সরকার। তবে নিজের অধিকার হাতছাড়া করতে নারাজ সাইফ।
এলএ/আরআইপি