ভেনেজুয়েলায় বিরোধীদলীয় নেতাকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
রাজনীতিতে ভেনেজুয়েলার প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হেনরিক ক্যাপ্রিলেসকে ১৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ভেনিজুয়েলার কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। খবর বিবিসির।
জাতীয় ন্যায়পালের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে কারকাস এলাকায় বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ এসময় রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ব্যাপারে যেসব নেতা আবারও গণভোটের দাবি জানিয়ে আসছেন, তাদের প্রথম সারিতে রয়েছেন ক্যাপ্রিলেস। অনেকেই ধারণা করছেন আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ক্যাপ্রিলেস প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে পরাজিত করতে পারবেন।
রাজধানী কারাকাসে বিরোধী দলের নেতৃত্বে কয়েকটি বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজনের এক সপ্তাহ পর তার রাজনীতি করার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলন করে রাজনীতি থেকে তাকে নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন ক্যাপ্রিলেস। ওই সময় তিনি জানান, মিরান্দা রাজ্যের গভর্নর হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার ভেনিজুয়েলার কয়েক হাজার নাগরিক রাস্তায় নেমে আসে।
‘একনায়কতন্ত্র চলবে না’ এবং ‘ক্যাপ্রিলেস হবেন প্রেসিডেন্ট’ এমন নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের গুলিতে নিহত একজনের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন বিক্ষোভকারীরা।
ভেনেজুয়েলায় বিরোধী দলের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপের সর্বশেষ শিকার ক্যাপ্রিলেস। দুই বছর আগে কংগ্রেসের নারী সদস্য সাবেক মেয়র মারিয়া কর্নিয়া মাচাদো নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। আরেক বিরোধীদলীয় নেতা লিউপোলডো লোপেজের ১৪ বছরের সাজা হয়।
মাদুরা সমাজতান্ত্রিক সরকার বলছে, মার্কিন সমর্থিত ব্যবসা ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক মন্দার জন্য দায়ী। তারা ডানপন্থীদের সংগঠিত করে তাদের ওপর নিয়ম আরোপের চেষ্টা করছে।
কেএ/টিটিএন/এমএস