একই মঞ্চে হাসিনা-মোদি-মমতা


প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৭

আগেই ঘোষণা এসেছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। এটি না হওয়ার প্রধান কারণ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অসম্মতি। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, তিস্তায় তো পানি নেই। বাংলাদেশকে কী দেব?

সেই মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে একই মঞ্চে দাঁড়ালেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

হায়দরাবাদ হাউসের ডেকান স্যুটে শনিবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বল রুমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন করে দুটি রুটে বাস ও ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় মোদি মমতা ব্যানার্জিকে মঞ্চে ডেকে আনেন। তিন নেতা একসঙ্গে ফটোশুটও করেন।

প্রসঙ্গত, দুই নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়ক’ নামে একটি সড়কের নামফলক উন্মোচন করেন। এছাড়া তারা যশোর ও খুলনা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত বাস সার্ভিস এবং খুলনা-কলকাতা রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করেন। এ সময় মমতা ব্যানার্জিকে মঞ্চে ডেকে আনেন মোদি।

এর আগে শনিবার সকালে নববধূর সাজে সেজেগুজে কলকাতার উদ্দেশে খুলনা রেলস্টেশন ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস-২। খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এ ট্রেন সার্ভিস। শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় খুলনা-কলকাতা রুটে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

মোদি পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভারতের নেতৃত্বাধীন বর্তমান বিজেপি সরকার এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই তিস্তা নিয়ে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি রয়েছে। এ নিয়ে আমার আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (মমতা ব্যানার্জি) এখানে এসেছেন। আমি খুবই খুশি হয়েছি। আশা করছি, এ সফরে তিস্তা চুক্তি না হলেও শিগগিরই এ চুক্তি সম্পন্ন হবে।’

পরে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই দেশের নদীগুলোর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে ভারতের ওপর আমাদের আস্থা আছে।’

এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।