গো-হত্যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড গুজরাটে


প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ৩১ মার্চ ২০১৭

গো-হত্যা বেআইনি ছিল আগেই। ছিল কড়া শাস্তির ব্যবস্থাও। কিন্তু এবার গো-হত্যা বিরোধী আইন আরও কঠোর করার পথে রয়েছে গুজরাট। গো-হত্যার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এমন সংশোধনী পাশ হয়েছে গুজরাটের বিধানসভায়। গোহত্যার বিরুদ্ধে এটাই দেশের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি।

২০১১ সালে গুজরাট প্রাণীরক্ষা আইন ১৯৫৪তে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছিল। সেই সংশোধনী অনুযায়ী, গোহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল সাত বছরের কারাদণ্ড। সেই শাস্তিই এবার বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হল। এ ছাড়াও গরু পাচারের মতো ঘটনায় জড়িত থাকলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

এতদিন সর্বোচ্চ আর্থিক জরিমানা ছিল ৫০ হাজার টাকা। এ বার তা দ্বিগুণ করে এক লক্ষ টাকা করা হচ্ছে। গরু পাচার করার গাড়িও বাজেয়াপ্ত করে নেয়া হবে চিরকালের জন্য।

এ বছরের শেষে গুজরাটে বিধানসভার ভোট হবে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই ওই রাজ্যে প্রথম ভোট। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল জয় হিন্দুবাদী রাজনীতির পালে জোরালো হাওয়া লাগিয়েছে।

যোগী আদিত্যনাথের মতো কট্টরপন্থী বলে পরিচিত নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করে, বিজেপি নিজেদের বার্তাকে আরও জোরালো করে তুলেছে। এই অবস্থায় গুজরাটের ভোটে হিন্দুত্বের তাস যে বড় হাতিয়ার হতে যাচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের, তা এই আইন সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হলো।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি গবাদি পশু রক্ষার জন্য আরও কঠোর আইনের কথা বলে আসছিলেন। চলতি মাসেই এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘গরু, গঙ্গা এবং গীতা-এই তিন রক্ষা করার জন্য বিজেপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।