তিন মাসে ৫৯০ থেকে ঝরালেন ১৭৫ কেজি


প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৭

নতুন বছরের শুরুতে অপারেশনের মাধ্যমে শরীরের ওজন অর্ধেকে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ হিসেবে পরিচিত মেক্সিকোর জুয়ান পেদ্রো ফ্রাঙ্কো সালাস। ৩২ বছর বয়সী পেদ্রোর ওজন ৫৯০ কেজি (এক হাজার ৩০০ পাউন্ড)। এতে পুরো না হলেও আংশিক সফল হয়েছেন তিনি।

গ্যাসট্রিক বাইপাস সার্জারি করার জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। গত তিনমাস ধরে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে তিনি ডায়েটে রয়েছেন। ডায়েটে থেকেই মেক্সিকোর বাসিন্দা জুয়ান এক ধাক্কায় ১৭৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন।

চিকিৎসকরা বলেছেন, শুধুমাত্র অপারেশনের জন্য পেদ্রো প্রায় ৩০ শতাংশ ওজন কমিয়েছেন। ফলে ওজন কমানোর জন্য পেদ্রোর বারিয়াট্রিক অপারেশন করতে কোনো সমস্যা নেই।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ মেক্সিকোর এই নাগরিক ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিছানা থেকে উঠে হাসপাতালে যান। চিকিৎসক জোসে কাসতানেদা ক্রুজ বলেছেন, জুয়ান পেদ্রোর ডায়াবেটিস, উচ্চ-প্রেসার ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর জন্য শরীরের ওজন নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পেদ্রো তার পরিবারের পরিচয় গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেনি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে তার অপারেশন সম্পন্ন হবে। তার সার্জারি সম্পন্ন হবে দুটি ধাপে। এর কারণ হচ্ছে, তিনি বর্তমানে জটিলতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ জন্যই দুটি ধাপে সার্জারি করা হবে। প্রথম সার্জারির ৬ মাস পর দ্বিতীয় সার্জারি হবে।

পেদ্রো বলেন, ১৭ বছর বয়সে তার ওজন ছিল ২০০ কেজি। পরে এক দুর্ঘটনার শিকান হন তিনি। এরপর থেকে তার ওজন বাড়তে থাকে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারতেন না। পরে মেডিক্যাল টিম তার উঠে দাঁড়ানোর জন্য লোহা দিয়ে একটি কাঠামো তৈরি করেন। এটি ব্যবহার করেই তিনি প্রথমবারের মতো বিছানা ছাড়তে সক্ষম হন গত নভেম্বরে। সেই সময় তিনি বলেন, আমি একটি নতুন স্বপ্ন দেখছি; একটি দরজা আমার জন্য খুলছে।

পেদ্রোর জন্মের সময় ওজন ছিল ৩ দশমিক ৪ কেজি; প্রত্যেক বছর তা বেড়েছে গড়ে ১০ কেজি করে। ৬ বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ কেজিতে। তার শরীরের ওজন যখন ২০০ কেজি সেই সময় তিনি এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে তার ওজন।

২০১৪ সালে ৪৮ বছর বয়সে দেশটির আরেক নাগরিক ৫৬০ কেজি ওজনের ম্যানুয়েল ইউরাইব মারা যান। সে সময় তাকেই বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ হিসেবে মনে করা হতো। ২০০৬ সালে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও জায়গা হয় তার।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে পেদ্রোর শরীরের ওজন অর্ধেক কমানো হবে। এরপরে আর একটি অপারেশন করে তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা হবে।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।