অস্ট্রেলিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের পর বন্যার আশঙ্কা
অস্ট্রেলিয়ায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ডেবি আঘান হানার পর সেখানে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দেশটির উত্তর-পশ্চিম উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
ভারি বর্ষণের কারণে কয়েক হাজার বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মালকোম ট্রার্নবুল দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে ইতোমধ্যেই প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা চালু করেছেন।
এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে একজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন টার্নবুল। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই কুইন্সল্যান্ডের ১০২টি স্কুল এবং ৮১টি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র এবং দুটি বন্দর বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টাউন্সভিলে এবং ম্যাকেই বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে ২৬৩ কিলোমিটার বেগে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ডেবি। কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বোয়েন এবং এয়ারলাইন বীচে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ শুরু করা হয়েছে। লোকজনকে সহায়তা করতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য জনগণকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বুধবার ২৫০ মি.মি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
কুইন্সল্যান্ডের ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসের কমিশনার কাটারিনা কারোল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় দু’জন নিজেদের গাড়ির মধ্যে আটকা পড়েছিলেন। এখন আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
ক্যাটাগরি চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ডেবির আঘাতে বোয়েন এবং এয়ারলি বীচে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। কুইন্সল্যান্ডে দুর্যোগে এ পর্যন্ত তিনজন আহত হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এরই মধ্যে কমপক্ষে ২৩ হাজার বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুই মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
টিটিএন/আরআইপি