জিহাদে ঝোঁক থাকলেও আইএসের সঙ্গে সম্পর্ক নেই মাসুদের
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ভবনের কাছে হামলা চালানো হয়। হামলায় পাঁচজন নিহত এবং আরো ৫০ জন আহত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়।
তবে হামলাকারী খালিদ মাসুদের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা আল কায়েদার কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি ব্রিটিশ পুলিশ। তবে জিহাদের প্রতি তার ঝোঁক ছিল বলে সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।
পার্লামেন্ট ভবনের কাছে ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজে গাড়ি চাপা দিয়ে তিনজনকে হত্যার পর আরেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন মাসুদ। পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালানোর পরপরই পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেররিজম পুলিশের ঊর্ধ্বতন জাতীয় সমন্বয়কারী নীল বসু জানান, বিচ্ছিন্নতার দিকে চলে যাওয়ায় ২০০৩ সালে মাসুদের সাজা হয়েছিলো এটা একেবারেই ভিত্তিহীন।
৫২ বছর বয়সী মাসুদ জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক। মানুষকে বিরক্ত করা, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও চুরির দায়ে তার সাজা হয়েছিলো। তবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে তার কখনোই সাজা হয়নি বলেও জানিয়েছেন নীল বসু।
নীল বসু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মাসুদের হামলার পদ্ধতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি কম খরচে, দুর্বল পদ্ধতিতে, হালকা অস্ত্র নিয়ে বেসামরিক লোক ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন। অন্যান্য সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এই হামলার মিল পাওয়া যায় না।
এই পর্যায়ে এসে আইএসআইএসের সঙ্গে মাসুদের সম্পৃক্ততাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার আলোচনাও হয়েছে।
কখন, কোথায়, কীভাবে মাসুদ নৃশংসতা চালিয়েছেন তা জানা আছে। তবে কেনো তিনি এই নৃশংসতা চালিয়েছেন তা জানা দরকার বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
সোমবার মাসুদের মা জ্যানেট আজাও এক বিবৃতিতে জানান, ছেলের কর্মকাণ্ডে তিনি মর্মাহত, মনোক্ষুন্ন ও হতবাক হয়েছেন। মাসুদ যে বিশ্বাসে এই নৃশংসতা চালিয়েছে তা কোনোভাবেই সমর্থন করেন না বলেও জানান তিনি।
হামলার আগে মাসুদ কাউকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। নীল বসু বলেন, ‘হামলার আগে মাসুদ কারও সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিনা তা নিয়ে নানা রকম কথা চলছে। ওইদিন তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কিনা তা এখন আমাদের তদন্তের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
কেএ/টিটিএন/জেআইএম