৭ দিনে বিমান হামলায় ২০০ ইরাকি নিহত
ইরাকের মসুলে মার্কিন নেত্বতাধীন জোটের বিমান হামলায় গত এক সপ্তাহে অন্তত দুইশ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
এ হামলায় প্রাণহানির ঘটনাকে ‘জীবনের ভয়ানক ক্ষতি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে হামলার সঠিক সময় জানা যায়নি। খবর বিবিসির।
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিয়ন্ত্রিত মসুল পুনরুদ্ধারে ইরাকি সেনাবাহিনীকে সহায়তার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি তরে মার্কিন বাহিনী। তবে এ হামলার বিষয়ে তদন্ত চলার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম।
গত প্রায় এক মাস ধরে মসুল পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরাকি বাহিনী। ২০১৪ সালে মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইএস।
পশ্চিম মসুলের জাদিদ পাড়ায় হামলার পর অন্তত ৫০ জনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা।
এদিকে, মার্কিন সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত ১৭ থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক হত্যার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
বাগদাদে মার্কিন কমান্ডোর মুখপাত্র কর্নেল জোসেফ ক্রোক্কা বলেন, মসুলে বেসামরিক লোক নিহতের বিশ্বাসযোগ্যতা তারা মূল্যায়ন করে দেখছেন।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে অন্তত চার লাখ মানুষ মসুলে আটকা পড়ে আছেন। ইরাকি সরকারি বাহিনী চেষ্টা করছে শহরটি পুনরুদ্ধার করার।
অপরদিকে, গত মাসে মসুলের এক লাখ ৮০হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে আরও তিন লাখ ২০ হাজার নাগরিক শহর ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন।
অন্যদিকে, জঙ্গিরা মসুলের বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার এবং তাদের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি. তারা স্থানীয় যুবকদের যুদ্ধে অংশ নিতে জবরদস্তি করছেন বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
কেএ/এসআর/এমএস