ল্যাপটপে নিষেধাজ্ঞায় বিস্মিত আমিরাত


প্রকাশিত: ০৮:৫০ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৭

আটটি মুসলিম দেশের বিমানে ল্যাপটপ ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন নিষেধাজ্ঞার পর বিস্ময় প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাত।

কেননা আগে থেকেই আরব আমিরাতের বিমানে যথেষ্ট নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। দেশটির বিমান সংস্থাগুলোও কড়াকড়ি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছে।

অথচ যেসব মুসলিম দেশের বিমানে ইলেকট্রিক ডিভাইসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তার মধ্যে আরব আমিরাতও রয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে আমিরাত।

মঙ্গলবার তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিশর, তিউনিসিয়া, কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবের এয়ারলাইন্সের বিমানে ইলেকট্রিক ডিভাইস বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দশটি বিমান বন্দরের বিমানে এই নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে।

তবে এমিরেটস, ইতিহাদ এবং কাতার এয়ারওয়েজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও একই বিমানবন্দরের ইউএস এয়ারলাইন্সের কোনো বিমানে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

ওই নিষেজ্ঞার পর প্রথমেই ইউনাইটেড আরব আমিরাতের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়া হয়। অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী এবং জেনারেল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান সুলতান বিন সাইদ আল মানসুরি জানিয়েছেন, এটা খুবই অবাক হওয়ার ঘটনা। কারণ ইতোমধ্যেই আরব আমিরাতের বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দরগুলো নিজেদের নিরাপদ হিসেবে প্রমাণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞার পরপরই বেশ কয়েকটি দেশের বিমানে ইলেকট্রিক ডিভাইসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটেন। তবে দেশটি আরব আমিরাত বা কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা না আনলেও তুরস্কসহ অন্যান্য দেশ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।