যুক্তরাষ্ট্রের পর বিমানে ল্যাপটপ বহনে নিষেধাজ্ঞা আনছে যুক্তরাজ্য


প্রকাশিত: ০৩:০২ এএম, ২২ মার্চ ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার যুক্তরাজ্যও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি মুসলিম দেশ থেকে আসা বিমানে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট বহনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। খবর বিবিসি।

বিমানের ক্যাবিনে বড় আকারের স্মার্টফোন বহনও নিষিদ্ধ হবে। যুক্তরাষ্ট্র আটটি মুসলিম দেশের বিমানে ইলেকট্রিক ডিভাইসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কয়েক ঘণ্টা পরেই বিমানের কেবিনে ল্যাপটপ বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাজ্য। তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি মুসলিম দেশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে বিমানে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। দশটি বিমানবন্দরের নয়টি এয়ারলাইন্সের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাজ্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তাদের প্রয়োগ কিছুটা ভিন্ন থাকছে। নিষেধাজ্ঞা এক হলেও ভিন্ন এয়ারলাইন্সের ওপর তাদের এই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।

বিমানে যাত্রীদের অনেকেই ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে সময় কাটান। তারা ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটে গান শোনেন বা সিনেমা দেখেন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা এ ধরনের ডিভাইস নিজেদের সঙ্গে বহন করতে পারবেন না।

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিশর, তিউনিসিয়া, কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবের এয়ারলাইন্স।

এসব দেশ থেকে আসা এয়ারলাইন্সকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চারদিন সময় দেয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলছেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বাণিজ্যিক বিমানগুলোকে টার্গেট করতে নানা রকম নতুন উদ্ভাবনী কায়দা ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

এই নিষেধাজ্ঞার পর তুরস্কের সরকার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা ভুল। তাদের এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে হবে।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।