ধর্ম অবমাননায় ব্যবস্থা নিতে ফেসবুকের সহায়তা চায় পাকিস্তান


প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১৭ মার্চ ২০১৭

বেশ কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ধর্মবিরোধী লেখা ও অন্যান্য বিষয়বস্তু মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।

এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি নাগরিকরা ধর্ম অবমাননা করলে বা ধর্ম অবমাননার মতো কোনো কিছু প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফেসবুকের কাছে সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দেশটি ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। খবর বিবিসির।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে ফেসবুক। পাকিস্তানে সংস্থাটি একটি টিম পাঠাতে রাজি হয়েছে। তবে এই টিম পাঠানোর নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করেনি ফেসবুক।   

ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা পাকিস্তানের মতো মুসলিম দেশের জন্য খুবই সংবেদনশীল এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির একটি ইস্যু।

সমালোচকদের মতে, ব্লাসফেমি আইনে অনেক সময় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই আইন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারও করা হয়।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিয়েছেন। এ ধরনের অপরাধকে তিনি ‘ক্ষমার অযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন।

নওয়াজ শরীফ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মবিরোধী বিষয়বস্তু দেয়া আইনবহিঃর্ভূত ষড়যন্ত্র। পুরো মুসলিম জাতির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানাই এর লক্ষ্য।’

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।