স্বাভাবিক হচ্ছে কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক


প্রকাশিত: ০২:৩৮ এএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্কের শেষে সম্প্রতি পানামায় কিউবান প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে বৈঠকের পরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা দেশগুলোর তালিকা থেকে  কিউবাকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স, বিবিসি।

খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্কের শেষে সম্প্রতি পানামায় কিউবান প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে বৈঠকের পরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, সন্ত্রাসবাদে অর্থ ও মদদদাতা দেশগুলোর তালিকা থেকে কিউবার নাম বাদ দেবেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এই উদ্যোগ উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন ওবামা। প্রতিবেদনে ওবামা বলেন, গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে এখন কিউবান সরকার কোনো ধরনের সহায়তা দিচ্ছে না। ভবিষ্যতেও দেশটি সন্ত্রাসবাদে আর কোনো মদদ দেবে না বলেও তিনি নিশ্চয়তা দেন। এদিকে, ওবামার এ সিদ্ধান্তকে তার ডেমোক্রেট দলীয় অনেক সদস্যই প্রশংসা করেছেন।

অপরদিকে কয়েকজন বিশ্লেষকের ধারণা, অনেক আগেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল। এর আগে গত ডিসেম্বরে ওবামা প্রশাসন প্রথমে কিউবার ওপর থেকে মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে, বিষয়টিকে অনেকে উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে ঐতিহাসিক উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করে।

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে প্রথম কিউবাকে সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বিভিন্ন সংগঠনকে সশস্ত্র বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ করতে সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, কিউবা অনেকদিন ধরে কলোম্বিয়ার ফার্ক বিদ্রোহী ও লাতিন আমেরিকায় সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ইটিএ এর সদস্যদের নিরাপদ ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা দেশগুলোর তালিকায় সিরিয়া, ইরান, সুদানের মতো দেশের নামও রয়েছে।
 
এএইচ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।