‘সে আমাকে টিস্যু পেপারের মত ব্যবহার করতো’


প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৭

ভারতের হায়দরাবাদ প্রদেশের ২১ বছর বয়সী এক তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, স্বামী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে বিকৃত যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হতো তাকে। ওই কাজে বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো।

ওই তরুণী বলেছেন, পরিবারের সদস্যরা, যারা এ বিষয়ে জানতেন, তারা স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করা স্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব বলে মন্তব্য করতো।

গত বছরের এপ্রিলে ২৬ বছর বয়সী এক তরুণের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর পড়াশুনার জন্য অস্ট্রেলিয়া চলে যায় তরুণ। তরুণীর অভিযোগ, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফেরার পর অশ্লীল দাবি শুরু করে তার স্বামী।

হায়দরাবাদের তরুণী বলেন, সে আমাকে টিস্যু কাগজের মত ব্যবহার করতো...সে বলতো অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশে একজন নারী অনেক সহযোগী পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। বলে, সে একই ধরনের কাজ এখানেও করতে চায়।

বিদেশে থাকাকালীন ওই তরুণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ রাখতো স্ত্রীর সঙ্গে। এ সময় তাকে অনলাইনে নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠাতে বাধ্য করতো। পুলিশ বলছে, ওই তরুণ এসব ছবি ও ভিডিও তার বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইনে শেয়ার করতো।  

পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে হায়দরাবাদের এই তরুণী বলেছেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে আসে তার স্বামী। মাদক সেবনের পর বন্ধু চাদ মোহাম্মদসহ তাকে ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করে।

তিনি বলেন, তার শাশুড়ি বলতেন, স্বামীকে সহযোগিতা করতে স্ত্রী হিসেবে এটা তার দায়িত্ব। তরুণীর পরিবার বলছে, বিয়েতে ২ লাখ রুপি যৌতুক দেয়া হয়েছিল। এছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠানে খরচ হয় আরও ৩ লাখ রুপি। এরপরও পড়াশুনার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে আরও ৫ লাখ রুপি দাবি করেছিল ওই তরুণ।

অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তরুণীর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতারের পর পুলিশি জিম্মায় নেয়া হয়েছে। চাদ মোহাম্মদসহ স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করার অভিযোগে মামলা করেছেন তিনি।

সূত্র : এডিটিভি।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন