বসবাসে সেরা ভিয়েনা, তলানিতে বাগদাদ
দানিয়ুব নদীতীরে গড়ে ওঠা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ও ইউরোপের অন্যতম শহর ভিয়েনা বসবাসের মান ও উপযোগিতার দিক দিয়ে বিশ্বের সেরা শহরের মর্যাদা লাভ করেছে।
কনসাল্টিং ফার্ম মার্সার তালিকায় ভিয়েনা সেরা শহরের খেতাব পেলেও বসবাসের জন্য সবচেয়ে বাজে শহরের তালিকায় প্রথমে স্থান হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের রাজধানী বাগদাদের।
তালিকার সেরা ৫ শহরের অপর ৪টি হলো- সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড, জার্মানির মিউনিখ ও কানাডার ভ্যানকোভার।
২৩১টি শহরের ওপরে এ জরিপ চালানো হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। জরিপে বেশকিছু বৈশিষ্ট্যের পরিমাপ করা হয়। যার মধ্যে ছিল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অপরাধ, বিনোদন ও পরিবহন ব্যবস্থা।
তবে সেরা ৩০ শহরের তালিকাতে নেই বিশ্বকেন্দ্র হয়ে ওঠা লন্ডন, প্যারিস, টোকিও ও নিউইয়র্ক সিটির মতো শহর। এমনকি, তালিকাতে বেশ পিছিয়ে আছে জার্মান, স্ক্যান্ডেনেভিয়ান, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বড় বড় শহর।
এশিয়া থেকে এই তালিকায় সবার উপরে স্থান পেয়েছে সিঙ্গাপুর সিটি, শহরটির অবস্থান ২৫ নম্বরে। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা শহর হিসেবে সানফ্রান্সিসকো রয়েছে ২৯ নম্বরে। এছাড়া আফ্রিকা অঞ্চলের সেরা শহর হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান রয়েছে ৮৭ নম্বরে।
১.৮ মিলিয়ন অধিবাসীর ভিয়েনা শহরের বাসিন্দাদের জন্য সংস্কৃতি ও বিনোদনের খোরাক হিসেব রয়েছে ক্যাফে, মিউজিয়াম, থিয়েটার ও অপেরা। এছাড়া ভিয়েনার গাড়ি ভাড়া ও গণপরিবহনের খরচ পশ্চিমা অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় কম।
এদিকে, ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠা ইতিহাস ও ঐহিত্যের শহর বাগদাদ লাভ করেছে বসবাসের উপযোগিতার দিক দিয়ে সবচেয়ে বাজে শহরের খেতাব।
গত ৬ বছর ধরে যুদ্ধশহর হয়ে ওঠা সিরিয়ার দামেস্ক রয়েছে তলানির দিক থেকে তালিকার ৭ নম্বরে। সবচেয়ে বাজে শহরের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম অবস্থানে থাকা শহরগুলো হলো- সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাঙ্গুই, ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হাইতির পোর্ট-আ-প্রিন্স, সুদানের খার্তুম ও আফ্রিকার আরেক দেশ চাঁদের রাজধানী এন’ডিজামেনা।
এসআর/জেআইএম