মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব শুরু


প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের নববর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের এ উৎসব শুরু  হয়।

`সাম্প্রদায়িকতা-প্রতিহিংসা-অন্ধতার কালিমা ধুয়ে মুছে যাক` এই দাবিকে সামনে রেখে এবার বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের পাহাড়ী জনগোষ্ঠী তাদের বৈসাবি পালন করছে।

সকালে বান্দরবান পুরাতন রাজার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আদিবাসীরা তাদের ঐতিহ্যময় সাজ ও ব্যানার, প্লেকার্ড নিয়ে অংশ নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদ, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরীসহ আদিবাসী নেতারা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি পাহাড়সহ দেশবাসীকে সাংগ্রাই উৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের নতুন বছরের প্রত্যয় হোক ২১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার ।

এ সময় তরুণ-তরুণী, যুবক ও যুবতীরা সামনের দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তিতে থাকার জন্য করেন গুরু ভক্তি পূজা। এর আগে মারমা তরুণীরা নেচে গেয়ে মাতিয়ে তোলেন অনুষ্ঠানস্থল ।

উল্লেখ্য, মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন বৈসাবিকে সাংগ্রাই উৎসব হিসেবে পালন করে থাকেন। পুরনো বছরের শেষ দিন এবং নতুন বছরের প্রথমদিনই সাংগ্রাই উৎসবের দিন হিসেবে তাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো বছরের শেষ তিনদিনের প্রথম দিন নারী-পুরুষ সবাই মিলে বৌদ্ধ মূর্তিগুলোকে নদীর ঘাটে নিয়ে পানি ও দুধ দিয়ে স্নান করায়। পরের দু`দিন মারমা জনপদে নেমে আসে আনন্দের বন্যা। ওই দুইদিন পাড়ায় পাড়ায় চলে পানি খেলা বা জল উৎসব। একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে পুরনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি ও দুঃখকে ধুয়েমুছে দেয়। এবারও পাড়ায় পাড়ায় ওই উৎসবের আয়োজন শুরু হয়েছে।

এসএস/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।