হেরেই গেলেন লৌহমানবী ইরম শর্মিলা, নির্বাচনে না লড়ার ঘোষণা


প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ১১ মার্চ ২০১৭

ভারতের মনিপুর রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস দলীয় নেতা ওকরাম ইবোবি সিংহ ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন।

২০১২ সালে রাজ্যের বিরোধীদলের শক্ত অবস্থান সত্ত্বেও ইবোবির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ৬০ আসনের ৪২টিতে জয় পায়। কিন্তু সেই সময়ের চেয়ে বর্তমানে মনিপুরে বিরোধীদল বিজেপির অবস্থান জোরাল হয়েছে। এর অাগে মনিপুরের রাজনীতিতে বিজেপির অাধিপত্য ও জোরালো অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি।

এতসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শুক্রবার ইবোবি সিংহ তার দলের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। আমরা এই নির্বাচনে পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। ৪০ থেকে ৪২ আসনে জয় পাবো।’

কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচনী ফল বলছে, ৬০ আসনের মনিপুরে বিজেপি ২৪, কংগ্রেস ১৯ ও অন্যান্য দল জয় পেয়েছে ৭ আসনে। মনিপুর বিধানসভার মসনদে বসার জন্য ৩১ আসনের প্রয়োজন।

মনিপুরের লৌহমানবী হিসেবে পরিচিত ইরম শর্মিলা ভোটে কোনো ফ্যাক্টরই হতে পারেননি। ওকরাম ইবোবি সিংহের আসন থোবালে লড়াই করা শর্মিলা পেয়েছেন মাত্র ৯০ ভোট। রাজ্যের রাজনীতিতে আসার ঘোষনা দিয়ে চমক দেখালেও ভোটারদের টানতে ব্যর্থ শর্মিলা পরবর্তীতে আর কোনো নির্বাচনে লড়াই করবেন না বলে জানিয়েছেন।

মনিপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নৃশংসতার প্রতিবাদে গত বছরের ১৬ আগস্ট দীর্ঘ ১৬ বছরের অনশন ভাঙ্গেন ‘লৌহমানবী’ হিসেবে খ্যাত মানবাধিকার কর্মী ইরম শর্মিলা চানু। ওই সময় মধু খেয়ে অনশন ভাঙেন তিনি।

নতুন জীবনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অনশন ভেঙে শর্মিলা বলেন, ‘রাজনীতিতে আমার জ্ঞান নেই। আমি একজন সাধারণ মানুষ, ভগবান নই। তবে আমি রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করতে চাই। মানুষ আমাকে লৌহমানবী বলে ডাকে। আমি ওই নাম নিয়েই বাঁচতে চাই।’  

মনিপুরের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেও পরে পিপলস রিপাবলিক অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন ৪৪ বছর বয়সী এই লৌহমানবী। এই দলের ব্যানারে মনিপুরের নির্বাচনে অংশ নেন তিনি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।