ভিডিওতে যা বললেন নিহত কিম জং ন্যামের ছেলে


প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৭

মালয়েশিয়ায় গুপ্তহত্যার শিকার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং ন্যামের ছেলে হিসেবে দাবি করে অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন এক তরুণ। এতে তিনি বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের পর মা ও বোনসহ লুকিয়ে আছেন তিনি।  

চিওল্লিমা বেসামরিক প্রতিরক্ষা গ্রুপ ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করেছে। এই গ্রুপটি বলছে, নেদারল্যান্ড, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও চতুর্থ নামহীন একটি দেশের সরকার পরিবারটিকে রক্ষার জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা দিচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ভিডিওতে দেখা যাওয়া তরুণকে কিম হ্যান-সোল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভিডিওতে ওই তরুণ উত্তর কোরিয়ার একটি পাসপোর্ট প্রদর্শন করেন। এছাড়া সহযোগিতার জন্য নামহীন এক ব্যক্তি অথবা একটি গ্রুপকে ধন্যবাদ জানায় হ্যান সোল।

নিজেকে কিম জং ন্যামের ছেলে দাবি করে ওই তরুণ বলেন, বর্তমানে আমার মা এবং বোনের সঙ্গে রয়েছি...আশা করছি শিগগিরই পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।

২১ বছর বয়সী কিম হ্যান-সোল নিহত কিম জং ন্যামের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। কয়েক বছর আগে উত্তর কোরিয়া থেবে নির্বাসিত হওয়ার পর থেকে বর্তমানে তারা বেইজিংয়ের নিরাপত্তার আওতায় চীনের ম্যাকাও’তে বসবাস করছে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে দুই নারীর হামলায় প্রাণ হারান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎভাই কিম জং ন্যাম। ন্যাম হত্যার পেছনে উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে সন্দেহ করা হলেও পিয়ং ইয়ং তা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়া।

প্রাণঘাতী রাসায়নিক নার্ভ অ্যাজেন্ট ভিএক্স প্রয়োগে ন্যাম খুন হয়েছেন বলে মালয়েশিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, বিষাক্ত এই অস্ত্র সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ১৯৯৩ সালে এই রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়।

ন্যাম খুনের জেরে মালয়েশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি দুই দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দুই দেশের ভেতরে থাকা নাগরিকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পরস্পর।



সূত্র : স্কাই নিউজ।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।