পিয়ন থেকে লাখোপতি


প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৭

অফিসের কেরানী থেকে রাতারাতি লাখোপতি বনে গেলেন ভারতের মুম্বাইয়ের বাসিন্দা শ্যাম কুমার। কেরানী থেকে লাখপতি বনে যাওয়ার এ ঘটনার পুরোটাই ঘটেছে তার অজান্তে।

স্কল.ইন বলছে, মুম্বাইয়ের শ্যাম কুমার সাইট্রাস পে’র অফিসে কেরানী হিসেবে কাজ করেছিলেন।  তার মাসিক বেতন ছিল মাত্র ৮ হাজার রূপি। ২০১০ সালে চাকরি শুরুর পর থেকেই তার বেতন ছিল একই রকম। কোম্পানির কর্মচারী তহবিল মালিকানার পরিকল্পনার আওতায় মুম্বাই ভিত্তিক মোবাইল ওয়ালেট স্টার্টআপ সাইট্রাস পে’র মালিকানা বিক্রি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার নাসপারস কোম্পানির কাছে। এ সময় ওই কোম্পানির মালিকানা কর্মচারীরাও মালিক হতে পারবেন বলে জানানো হয়।

সাইট্রাস পে’র হাজারো কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে একদম নিচের সারির একজন কর্মচারী শ্যাম কুমার রাতারাতি কয়েক লাখ রূপির মালিকে পরিণত হয়েছেন। ভারতে যেসব মোবাইল ওয়ালেট ব্রান্ড আছে তার মধ্যে অন্যতম একটি  সাইট্রাস পে।

কুমার অত্যন্ত গরীব পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। বাবা-মার ভরণ-পোষণের জন্য তিনি মুম্বাইয়ে যান ২০১০ সালে। এ সময় তার ভাই দিল্লির এক ব্যাংক কর্মকর্তার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করছিলেন। শ্যাম কুমার তার ভাইয়ের কাছে চাকরি চেয়েছিলেন। পরে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাকে জানান। ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা বন্ধু সাইট্রাস পে’র মালিকের কাছে ড্রাইভারের ভাইয়ের জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করতে বলেন।

পরে সাইট্রাস পে’তে শ্যাম কুমার পিয়নের চাকরি নেন। কুমার কর্মচারী স্টক মালিকানার বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে শিকার করেছেন। এছাড়া এর ফলে তিনি দীর্ঘমেয়াদে কী ধরনের উপকার পাবেন সেবিষয়েও কিছু বুঝতেন না। হঠাৎ লাখপতি বনে যাওয়ার তথ্য প্রথমে তার স্ত্রী বিশ্বাসই করতে পারেননি। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে ২৬ লাখ রূপি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এছাড়া কোম্পানির পক্ষ থেকে ১০ বছরের স্বাস্থ্যবিমাও পেয়েছেন তিনি। এ ঘটনা জানার পর তিনি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারেননি।

শ্যাম কুমার একটি বস্তিতে বসবাস করছেন। সাইট্রাস পে’ থেকে ওই অর্থ পাওয়ার পর এখন শহরের আশ-পাশে একটি বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।