সৌদি বাদশাহর বিলাসী সফরে বিস্মিত গোটা বিশ্ব


প্রকাশিত: ০৫:০১ এএম, ০৬ মার্চ ২০১৭

এশিয়া সফরে বেরিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। এই সফরে প্রথমেই মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ করেছেন বাদশাহ। মালয়েশিয়া সফরের পর গত বুধবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পৌঁছেছেন বাদশাহ সালমান। এই সফর শেষে তিনি চীন, জাপান এবং মালদ্বীপে যাবেন।

মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়ায় ১২ দিন সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে বাদশাহর। গত পাঁচ দশকে এই প্রথম সৌদির রাজ পরিবারের কোনো সদস্য ইন্দোনেশিয়ায় সফর করছেন।

বাদশাহ সালমানের এই সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কারণ তার এই সফরে সৌদির সঙ্গে এশিয়ার দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু চুক্তি সাক্ষরিত হবার কথা।

তবে সৌদি বাদশাহর বিলাসী এই সফরে বিস্মিত হয়েছে গোটা বিশ্ব। একেবারে পূর্ণ পরিকল্পনা করেই সফরে বেরিয়েছেন তিনি। তার মতো এমন ব্যয়বহুল আর বিলাসী সফর এর আগে কেউ দেখেনি।

৮০ বছর বয়সী সৌদি বাদশাহর সফরে ১০ মন্ত্রী, ২৫ যুবরাজ এবং ৮শ প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫শ জন তার সফর সঙ্গী হয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার আনতারা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বাদশাহর সফর সঙ্গীরা তিন সপ্তাহ ধরে ৩৬টি ফ্লাইটে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছেন।

বাদশাহ সালমান ৫০৬ মেট্রিক টন লাগেজ, দুটি মার্সিডিজ গাড়ি এবং দুটি ইলেক্ট্রিক লিফট নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় সফর করছেন।

বাদশাহর লাগেজ বহনের জন্য একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ায় ওই লাগেজগুলো পৌঁছে গেছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আদজি গুনাওয়ান জানিয়েছেন, সৌদি বাদশাহর লাগেজ বহনের জন্য তার প্রতিষ্ঠানের ৫৭২ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে।

আড়ম্বর ও বিলাসবহুলভাবে সফরের কারণে আগে থেকেই সৌদি বাদশাহর সুনাম রয়েছে। তবে একই সঙ্গে তার এমন অপব্যয়ের জন্য সমালোচনাও হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়াশিংটনে সফরের সময় জর্জটাউনের একটি বিলাসবহুল হোটেলের পুরোটাই বুক করেছিলেন তিনি। ওই হোটেলটি আশেপাশের বেশ কিছু হোটেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিলাসবহুল ছিল। আর এতে মোট ২২২টি কক্ষ ছিল।

বাদশাহ সালমানের ইন্দোনেশিয়া সফরে দু’দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এমন বিলাসী সফরের মাধ্যমে সৌদি আসলে বিভিন্ন দেশকে তাদের দেশে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেলের দাম কমে যাওয়ায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে দেশটি। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনাবাহিনীকে সামরিক সহায়তা দিতে গিয়ে দেশটির ব্যয়ও অনেক বেড়ে গেছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।