মাদকের সঙ্গে জড়িত হলে চাকরি হারাবে পুলিশ
কোনো পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসা কিংবা পরিবহনের সঙ্গে জড়িত হলে তাকে চাকরি হারানোর পাশাপাশি জেলহাজতেও যেতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পুলিশ লাইন মাঠে ৩০ কোটি টাকার মাদক দ্রব্য ধ্বংসকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতামাদক নিয়ে ধরা পড়লে তদবির হয়, কিন্তু পুলিশের বেলায় তা চলবে না। কোনো পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসা কিংবা পরিবহনের সঙ্গে জড়িত হলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তাকে চাকরি হারাতে হবে পাশাপাশি জেলহাজতে যেতে হবে।
ডিআইজি আরও বলেন, অনেক পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ নিয়মিত মাসোয়ারা নেয় খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতীতে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার কয়েকজন পুলিশের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ- বিজিবি ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষে মাদক রোধ করা সম্ভব নয়। নিজে, পরিবার ও সমাজ থেকে মাদক রোধ করতে হবে। চাহিদা থাকলে পাচারকারী যেকোনো মূল্যেই ইয়াবা আনবে। তাই সচেতনার মধ্যেই মাদকের বিস্তার ধ্বংস করে এদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে।
এ সময় ডিআইজি আরও বলেন, বর্তমানে সড়ক পথে মাদক পাচার অনেক কমে এসেছে। পাচারকারীরা কৌশল হিসেবে এখন নৌপথ ব্যবহার করছে। নৌপথে কোস্টগার্ড থাকলেও জনবল পর্যাপ্ত নয়। গত তিন মাসে বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ লাখ ইয়াবা ও ১৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব মাদ্রকদ্রব্যের মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার হওয়া এসব মাদ্রক ধ্বংস করা হয়।
বিএ/এমএস