বাংলাদেশ থেকে মার্কিন ইলেক্টরাল কলেজে যেভাবে জায়গা পেলেন নাজদা


প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৭

নাজদা অালমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের একটি পরিবারে। যেখানে মৌলিক মানবাধিকারের চর্চা হয়। বসত ঘরে মহাত্মা গান্ধী, জন এফ. কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো কিংবদন্তিদের ছবি দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান নাজদা আলম। দেশটিতে গিয়েও গণতান্ত্রিক মতাদর্শ চর্চা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিয়েছেন ইলেক্টরাল কলেজের একজন সদস্য হিসেবে।  

মার্কিন শিশু ও নারী অধিদফতরের কর্মী আলম রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। শিশু ও নারীদেরকে নিরাপদ রাখার অভিপ্রায় থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

নাজদা আলম ২০০৮ সাল থেকে একাধারে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক স্টেট কমিটির সদস্য, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের মুসলিম ভোটার নিবন্ধন প্রকল্পের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান নারীদের প্রতি পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধাবোধ তৈরিতে কাজ করা ‘ডটার অব আব্রাহাম’ নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও তিনি।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাজদা আলম বলেন, ‘আমি একজন অভিবাসী, একজন মুসলিম ও একজন নারীবাদী। আমি যে কোনো ধরনের বিবাদ সৃষ্টিকারী কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রয়োজনীয়তা সব সময় দৃঢ়ভাবে অনুভব করি।’

হিলারি ক্লিনটনের দীর্ঘসময়ের সমর্থক হয়েও ২০০৮ সালে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ওই বছরে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। ২০১২ সালে ডেমোক্রেট দলের জাতীয় কনভেনশনে ডেলিগেটের দায়িত্ব পালন করেন নাজদা আলম। এছাড়া ওই বছর ওবামার জন্য বিকল্প ইলেক্টর হিসেবেও কাজ করেন তিনি।

গত নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অভিবাসী ও মুসলিম ভোটারদের সংগঠিত করার কাজ করেছেন তিনি।  পপুলার ভোটে জয়লাভের পরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে হিলারির পরাজয়কে ‘পরিবারে একটি মৃত্যু’ বলে মনে করেন নাজদা আলম। ব্যক্তিগত হতাশা সত্ত্বেও আলম বলেন, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে ১০ ইলেক্টরের একজন হতে পাওয়াটা তার জন্য অনেক বড় সম্মানের; যারা ক্লিনটনকে ইলেক্টরাল ভোট দিয়েছেন।

নাজদা আলম বলেন, আমার নাম সবসময় ওই তালিকায় থাকবে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সালেম স্টেট ইউনিভার্সিটি সিভিক এনগেইজমেন্টের হল অব ফেমে নাজদা আলম জায়গা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ইতিহাসের অংশ হতে পেয়ে অামি গর্বিত।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।