পাত্রীর অভাব গুজরাটে!
বিয়ের করবেন, পাত্রী খুঁজছেন। কিন্তু মন মতো পাত্রীর সন্ধান পাচ্ছেন না। এ চিত্র বাংলাদেশের নয়। এটি ভারতের গুজরাট রাজ্যের চিত্র। গুজরাটের ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের প্রায় ৬ লাখ ২৯ হাজার যুবক যারা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কনের অভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারছেন না।
ভারতে ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যের বরাত দিয়ে বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়া এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে গুজরাটে লিঙ্গ অনুপাতের একটি পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছে। প্রদেশটিতে প্রতি ৯১৯ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ রয়েছে ১ হাজার জন এবং ০ থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে ৮৮৬ জন মেয়ে আর ১ হাজার জন ছেলে। এখানে নারী-পুরুষের অনুপাতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
প্রতিবেদনটিতে উদাহরণস্বরূপ হরিশ পাতিল নামের এক ব্যক্তির জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নামের সঙ্গে এমএসসি, এমএড, এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রিও রয়েছে। রয়েছে বিপুল অর্থও। তারপরও অনেক পাত্রী খোঁজাখুঁজির করেছেন। অবশেষে হতাশ হয়ে বিয়ের আশা একেবারে ছেড়েই দিয়েছেন তিনি। হরিশের মতো প্রদেশটিতে এ রকম আরও অনেকে রয়েছেন, যারা পাত্রীর অভাবে বিয়ে করতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে হরিশ বলেন, ‘বিয়ের জন্য এমন কোনো পাত্র-পাত্রীর অফিস নেই যেখানে আমি রেজিস্ট্রেশন করিনি। এমনকি এমন কোনো সম্মেলন নেই যেখানে আমি যাইনি। কিন্তু বিয়ের পাত্রীর সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য।’
এসএস/বিএ/পিআর