মাসে ১০০ রিয়াল কর পরিশোধ করতে হবে সৌদি শ্রমিকদের


প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দেশীয় অর্থনীতি সুসংহত করতে বিদেশি কর্মীদের ওপর করারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণে সে দেশে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত বিদেশিরা নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, অর্থনৈতিক সমস্যা ও সৌদি নীতিনির্ধারকরা সে দেশের নাগরিকদের চাকরির ব্যবস্থা করতে আগের নীতিতে পরিবর্তন আনছে। বিশ্বে অন্যান্য দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি তেল রফতানি করে সৌদি আরব।

গত বছর দেশটি ‘ভিশন-২০৩০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে প্রাইভেট সেক্টরে আরো অধিক পরিমাণে সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে বিনিয়োগ ও ব্যবসায় অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।

saudi-arab

২০১৪ সালে বিশ্ববাজারে তেলের দামে পতনের পর সৌদি আরবের বাজেটে ব্যাপক ঘাটতি দেখা যায়। এ ধাক্কা লাগে দেশটির প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। বেসরকারি সংস্থাগুলোর ঋণ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে; বিশেষ করে নির্মাণ খাতে।

সৌদি বিন লাদেন গ্রুপ দরিদ্র দেশগুলোর ৭০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। এছাড়া ধীরগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর হাজার হাজার শ্রমিক সৌদি ছাড়ছেন।

দেশটির সর্বশেষ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক কর্মরত। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রমিকরা নিজ দেশে ফিরছেন।

‘মানুষ সৌদি ছাড়ছে কারণ চুক্তি নবায়নের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কাজ নেই’ বলেন বৈদ্যুতিক সামগ্রী বিক্রয়কারী এক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ১০ শতাংশ কমে গেছে।

saudi-arab

তবে সৌদিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের জন্য আরো ভয়াবহ সময় ঘনিয়ে আসছে। আগামী জুলাইয়ে নতুন একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে সৌদি সরকার। স্বনির্ভর বিদেশি শ্রমিকদের ওপর করারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে মাসে ১০০ রিয়াল (২৭ ডলার) কর গুনতে হবে শ্রমিকদের। সরকারি ফান্ডে জমা হবে এ কর, যা ২০২০ সালের মধ্যে বেড়ে ৪০০ রিয়ালে পৌঁছাবে।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।