রমজানে খাবারের ধরণ ও সময়


প্রকাশিত: ০৬:৩৪ এএম, ০২ জুলাই ২০১৪

মুসলমানদের জন্য রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। সারা বিশ্বের মুসলমানদের মাঝে প্রতিফলিত হবে একটি পবিত্র ছোঁয়া এবং সেই সাথে পরিবর্তন হবে খাবার এর ধরন এবং সময়সূচি। রমজান এমন একটা মাস যা আমাদের ঐতিহ্য এবং অভ্যাসকে সাজিয়ে দেয় তার নিজের মত করে। সেই সাথে যোগ হয় রাতের সেহেরি এবং সন্ধ্যার ইফতার যা রোজার মাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে উভয় ক্ষেত্রেই খেতে হবে এমন সব পুষ্টিকর খাবার যে খাবার গুলো সারাদিন রোজার পরে আপনাকে দিবে পরিপূর্ণ পুষ্টি এবং স্বাচ্ছন্দ্য। সেই সাথে আপনাকে সুস্থ রাখবে। চলুন জেনে নেয়া যাক কী কী খাবার গ্রহণ ও কী কী খাবার বর্জন করা উচিত এই পবিত্র মাহে রমজান মাসে।

গ্রহণীয় খাবার-
০১. প্রচুর পানি। ইফতার থেকে সেহেরি এর মাঝের সময় তাতে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি গ্রহণ করুন। মানে ৮-১০ গ্লাস পানি প্রতিদিন।

০২. প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান যেন আপনি মানসিক এবং শারিরীক ভাবে বিশ্রাম পান। কম ঘুম হলে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন যা সারাদিন আপনাকে একটি ঝিমানোভাব এনে দিবে, এবং সাধারণ কজ কর্ম থেকে বিরত রাখবে।

০৩. ইফতারে একটি সুষম খাবার প্লেট সাজানোর চেষ্টা করুন যে প্লেটে থাকবে রমজানের মিষ্টি (খেঁজুর), ফল, ১টি ভারী খাবার, সালাদ, স্যুপ ইত্যাদি।

০৪. জটিল শর্করা গ্রহণ করুন সেহেরিতে। কারণ তা অনেক্ষণ সময় লাগে হজম হতে। ফলে সারাদিন ক্ষুধা অনুভব হতে দেয় না। জটিল শর্করার মধ্যে আছে বিভিন্ন শাক-সবজি, সিম, বাদামি চাল, গমের আটা, বীজ জাতীয় খাবার ইত্যাদি।

০৫. বাদাম গ্রহণ করা যেতে পারে যা আমিষের উন্নত একটি উৎস।

০৬.  ইফতার শুরু করুন যাতে আঁশ, সুগার ও ভিটামিন/মিনারেলস আছে। ফলের রস এই ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট খাবার।

০৭. খাবারে সেই খাবারগুলো রাখুন যা সচরাচর খাওয়া হয় এবং সেহেরিতে এমন খাবার গুলো কে প্রাধান্য দিন যে খাবারগুলো আপনার সারা দিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা, আমিষ, এবং চর্বি গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন খাবার হওয়া চাই হালকা। খুব ভারী খাবার শরীরকে ভারী করে এবং পরবর্তী কালে ক্ষুধাও বেশি লাগে।

০৮. হাঁটা চলা বন্ধ করা যাবে না। একটু আধটু হাঁটা চলা করুন। তবে রোযা কালীন সময়ে ব্যায়াম বন্ধ রাখুন।

বর্জনীয় খাবার-
০১. ভাজা পোড়া খাবার খাবেন না, কারণ সারাদিন রোজার পর এই সকল খাবার পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং বদ হজম হয়।

০২. অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না।

০৩. সেহেরিতে বা ইফতারিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। খাবার নষ্ট করতে না চাইলে গরিব দের দিয়ে দিন, কিন্তু নষ্ট হবে ভেবে নিজে খেয়ে নিবেন না।

০৪. সেহেরিতে অতিমাত্রায় চা পান করবেন না। চা বেশি পান করলে বার বার টয়লেটে যেতে হতে পারে।

০৫. যাদের ইউরিক এসিড এর পরিমাণ বেশি বা আর্থ্রাইটিস আছে, অথবা কোন কারণে ডাল জাতীয় খাবার নিষিদ্ধ তারা ছোলা, বুট, বেসন, বড়া, হালিম একদমই খাবেন না। এই সকল খাবারের পরিবর্তে অন্য খাবার খান। এই ব্যাপারে পরবর্তী কালে আরও ১ টি পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করব।

রমজান মাসে একটু ভেবে চিনতে খাওয়া দাওয়া করলে কোন কষ্ট ছাড়াই সাওম পালন করা যাবে। তাই একটু সচেতন হই এবং সুস্থ ও সুন্দর ভাবে সাওম পালন করি। শুভ হোক মাহে রমজান।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।