ভারতের বাজার ছাড়ছে টেলিনর


প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপ ভারতের মার্কেট থেকে গুটিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ভারতীয় বাজারের ব্যবসা ভারতী এয়ারটেল কোম্পানির কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের বাজারে মুকেশ আম্বানির প্রতিষ্ঠান রিল্যায়ান্স জিও’র সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা ও চাপের মুখে কুলিয়ে উঠতে না পারায় নরওয়ের এই প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা ভারতী এয়ারটেলের কাছে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।

ভারতে টেলিনরের ৪ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক রয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ (পূর্ব), উত্তরপ্রদেশ (পশ্চিম) ও আসামে সাতটি সার্কেলে টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে।

এই দুই কোম্পানির মাঝে এমন এক সময় চুক্তি হলো যখন দেশটি অপর দুই কোম্পানি ‘ভোডাফোন’ ও ‘আইডিয়া সেলুলার+’ একীভূত হয়ে দেশটির বৃহৎ কোম্পানি গঠন করতে চাইছে।

এয়ারটেল বলছে, নরওয়ের এই কোম্পানির ব্যবসা কিনে নিতে একটি নির্দিষ্ট চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা। চূড়ান্ত চুক্তির জন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

‘প্রস্তাবিত অধিগ্রহণ চুক্তির ফলে টেলিনর ভারতের সম্পদ এবং গ্রাহক এয়ারটেলের কাছে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া সব গ্রাহক ও নেটওয়ার্ক এয়ারটেলের আওতায় আসবে।’

এয়ারটেলে ভারতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোপাল ভিত্তাল বলেছেন, ‘চুক্তি সম্পন্নের পরে টেলিনর ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা ভারতের বিস্তৃত ও সবচেয়ে দ্রুতগতির ভয়েস এবং ডাটা নেটওয়ার্ক সেবার আওতায় আসবেন। এছাড়াও এয়ারটেলের বিশ্বমানের সেবা ও পণ্য পাবেন।’

টেলিনর গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিগভে ব্রেক্কে বলেছেন, ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব সহজ ছিল না। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনার পর আমাদের মনে হয়েছে, টেলিনর ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি আমাদের গ্রাহক, কর্মী এবং টেলিনর গ্রুপের সেরা স্বার্থ হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে টেলিনরের ব্যবসা ভারতী এয়ারটেলের কাছে হস্তান্তর হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে ভারতের টেলিকম বাজারে প্রবেশ করে নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।