চীনা সীমান্তবর্তী ভারতীয়দের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে
চীনা মুক্তি ফৌজের কথিত অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার সীমান্তবর্তী ভারতীয়দের অস্ত্র ও সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ভাবছে।
বুধবার প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চীনা সীমান্তে বসবাসকারী ভারতীয় জনগণ যেনো ‘আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের’ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে সে পরিকল্পনা করছে নরেদ্র মোদি সরকার। নয়াদিল্লি মনে করছে এতে চীনের গণমুক্তি ফৌজের কথিত অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে।
ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের এ সংক্রান্ত পরিকল্পনার বিপরীতে মেরুতে অবস্থান নিয়েছে এনডিএ সরকার। সাবেক সরকারের আমলে চীনা সীমান্তে বেসামরিক মানুষদের সব ধরণের চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
কিন্তু মোদি সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় বেসামরিক জনগণের চলাফেরা অবাধ ও সহজ করা হবে। পাশাপাশি চীনা সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট নির্মিত হবে। অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাবে গত কয়েক বছরে চীনা সীমান্তবর্তী ভারতের জনগণ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতরে সরে গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন অরুণাচল প্রদেশের চীনা সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ভারতীয় গ্রামবাসীদের বসতি স্থাপনে উৎসাহিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এদিকে, একই সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে সেনা সংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনাও নিয়েছে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ পরিকল্পনা মোতাবেক সীমান্তে আরো ৫৪টি নতুন চৌকি বসানোর এবং ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশ(আইটিবিপি) বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রেডিও তেহরান