নারায়ণগঞ্জে নৌ দুর্ঘটনার ৭টি কারণ চিহ্নিত


প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০১৫

নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, মেঘনা, বালু, ব্রহ্মপুত্র, ধলেশ্বরী নদীতে নৌ দুর্ঘটনার ৭টি কারণ চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এগুলো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ নৌযানের চলাচল, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে অসংখ্য জাহাজ নোঙ্গর করে নৌপথ সরু করে ফেলা, নৌযানের চালকদের প্রশিক্ষণ না থাকা, খেয়া পারাপারের ট্রলারে অদক্ষ চালক, ট্রলার ও নৌকা পারাপারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বালুমহাল ইজারার নামে চাঁদাবাজি, রাতের বেলায় নৌযান চলাচল করা।

রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিভিন্ন নৌযানের মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনসহ পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতনদের মত বিনিময় সভায় এ সকল কারণ চিহ্নিত হয়।

সভা শেষে পুলিশ সুপার নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা সিদ্ধান্ত নেন এবং সেগুলো সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।  

জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মোখলেছ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জাকারিয়া, নৌ পুলিশের সিনিয়র এএসপি মো. রিয়াজ, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার, জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের ওয়াহিদুর রহমান মাষ্টার (প্রথম শ্রেণি), বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মাহমুদ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, ডেমরা বাল্কহেড মালিক সমিতির সভাপতি হাজী সিরাজ মিয়া, নৌযান মালিক আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা, গত ২ এপ্রিল বুড়িগঙ্গায় ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নৌ পুলিশ যখন অভিযানে যায় তখন তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। যদি কোন নৌ পুলিশ দুর্ঘটনায় পড়ে তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নৌ চাঁদাবাজরা কোনভাবেই জেলা প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী হতে পারেনা। নৌপথে চাঁদাবাজদের বিষয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেব। খেয়াঘাটগুলোতে সভার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে। খেয়া ঘাটগুলোতে চলাচলকারী ট্রলারগুলোর চালকদের দক্ষতা সম্পর্কেও খোঁজ নেয়া হবে। প্রত্যেকটি খেয়াঘাটে মাইক লাগানো হবে। প্রতিটি বাল্কহেডে বিভিন্ন রঙের ফ্ল্যাগ লাগানোর জন্য মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। এছাড়া নৌ-ট্রাফিক সিস্টেম চালু করারও উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি সভায় উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।

এমজেড/আরআইপি


 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।