ট্রাম্পের বক্তৃতায় সুইডেনে বিভ্রান্তি


প্রকাশিত: ০৩:৪৬ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে এক জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন। তার ওই বক্তৃতায় তিনি সুইডেনকে নিয়ে যে কথা বলেছেন তা নিয়ে দেশটিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। খবর বিবিসির।

বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা দেখুন জার্মানিতে কি ঘটছে। সুইডেনে গতরাতে কি ঘটেছে। কে এ কথা বিশ্বাস করবে? তারা ব্যাপক সংখ্যায় শরণার্থীদের নিয়েছে এবং এখন তাদের এমন সমস্যা হচ্ছে যা তারা চিন্তাও করতে পারেন নি।’

ট্রাম্পের এমন কথায় অনেকেই পরিষ্কার বোঝেননি যে সুইডেনে আগের দিন রাতে কি ঘটেছিল বা ট্রাম্প কোন ঘটনার কথা বলছেন। টুইটারে এ নিয়ে অনেকের মতো মন্তব্য করেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও।

এক টুইট বার্তায় সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট লিখেছেন, সুইডেন? সন্ত্রাসী আক্রমণ? তিনি কি কিছু খেয়েছেন?

আসলেই কি সুইডেনে সেদিন কিছু ঘটেছিল? মোটেও না। সেদিন দেশটিতে বড় কোনো হামলা তো দূরের কথা ছোট কোনো সহিংসতার ঘটনাও ঘটেনি।

ট্রাম্পের এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের পর টুইটারে ‘লাস্টনাইটইনসুইডেন’ হ্যাশট্যাগ চালু হয়। একটি ওয়েবসাইট সেদিনের প্রধান খবরগুলোর একটি তালিকাও প্রকাশ করে। তাতে দু’একজনের মুত্যুর খবর ছিল, কিন্তু সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কিত কিছু ছিল না।

এর আগে শুক্রবার রাতে ফক্স নিউজ টিভিতে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। সেখানে সুইডেনে শরণার্থীরা আসার পর বন্দুক নিয়ে সহিংসতা এবং ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে বলে জানানো হয়। হয়তো সেটাকে কেউ সেদিনের ঘটনা বলে মনে করে থাকতে পারেন।

একজন মন্তব্য করেছেন, হয়তো আগের দিন রাতে পাকিস্তানে বোমা হামলায় ৮০ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে ট্রাম্প সুইডেনের ঘটনার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন।

সুইডেনে ২০১৩ থেকে শরণার্থীরা যাওয়া শুরু করে। কিন্তু এর পরেও কোনো সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।

ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ সাইমন শামা টুইটারে ট্রাম্পের কথার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, সুইডেনে ২ লাখ শরণার্থী আছে, এখানে কোন সন্ত্রাসী আক্রমণ হয় নি।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সুইডেন থেকেই সবচেয়ে বেশি লোক ইসলামিক স্টেটের হয়ে যুদ্ধ করতে সিরিয়ায় গেছে। এরকম ৩শ জনের মধ্যে ১৪০ জন ইতিমধ্যে সুইডেনে ফিরে গেছেন। তাদের এখন সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।