বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে না কংগ্রেস
ভারতের ১৬তম লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দেয়ার জন্য কংগ্রেস দল যে আবেদন জানিয়েছিল তা নাকচ করে দিয়েছেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
বিরোধী দলের মর্যাদা চেয়ে গত মাসে স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু মঙ্গলবার সরকারিভাবে ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন সুমিত্রা মহাজন। তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে লোকসভায় কোনো বিরোধী দলের যদি মোট সদস্য সংখ্যার ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৫৫ জন সদস্য না থাকে তাহলে সেই দলকে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দেয়া হয় না। এবারের লোকসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা মাত্র ৪৪। সে কারণে কিছুতেই বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে পারে না কংগ্রেস।
নির্বাচনে ভরাডুরি পর প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে কংগ্রেস যুক্তি দেখিয়ে বলেছিল, ইউপিএ জোট হিসেবে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং সেক্ষেত্রে তাদের আসন ৫৬টি। কিন্তু সুমিত্রা মহাজন জানিয়ে দেন, “কোনো দলের জন্য নিয়ম পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তাই কংগ্রেসকে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দেয়া সম্ভব নয়।” লোকসভার স্পিকার অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “১৯৬৯ সালে প্রথমবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়েছিল। ১৯৮০ ও ১৯৮৪ লোকসভায় ১০ শতাংশ আসন না থাকায় কোনো বিরোধী দল ছিল না।”
কংগ্রেস বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে কি না তা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি’র মতামত জানতে চেয়েছিলেন স্পিকার। তিনি জানিয়েছেন, “এখন পর্যন্ত লোকসভায় যারা বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছে তাদের যে কারো চেয়েও কম আসন পেয়েছে কংগ্রেস। সুতরাং, আইন অনুযায়ী লোকসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে পারে না দলটি।“
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায়। এক্ষেত্রে বিরোধী দলকে ন্যূনতম ৩০টি আসন সংখ্যার অধিকারী হতে হয়। কিন্তু ওইবার তৃণমূল কংগ্রেসের ৩০ জন বিধায়ক নির্বাচনে জিতলেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে এক বিধায়কের মৃত্যুর ফলে আসন সংখ্যা ২৯-এ গিয়ে দাঁড়ায়। সে সময় স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিম আইনের ব্যাখ্যা তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিরোধী দলের মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেন। সূত্র: আইআরআইবি