আমিরাতের শাসক শুনলেন বাংলাদেশি শিশু শামীমের ভিডিও বার্তা
শামীম। বয়স ১০ বছর। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রামে জন্ম হয়েছিল তার। দশম জন্মদিন পালনের দিনে তার একটি বার্তা ও পোর্টেট ছবি পৌঁছে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছে।
শামীমের ওই ছবির পেছনে রয়েছে একটি গল্প। একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া শামীমের জীবন পাল্টে দিয়েছে আমিরাতের শাসক মাকতুম পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দুবাই কেয়ার’। সংস্থাটি বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশে এক কোটি ৬০ লাখ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জীবন পাল্টে দিয়েছে। শামীমও এই শিশুদের একজন।
শামীম তার জন্মদিনে একটি বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছে দুবাই কেয়ারের একদল কর্মীর কাছে; যারা তার জীবনে এনেছেন পরিবর্তন। কর্মীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি এই শিশু বিশেষ এক বার্তায় বলেছে, ‘দুবাই কেয়ার থেকে আমি যে সহায়তা পেয়েছিলাম তার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনারা আমাকে ভবিষ্যতের জন্য অনেক আশাবাদী করেছেন।’
আরব আমিরাতের জাতীয় দৈনিক খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, দুবাই শাসকের মহৎ উদ্যোগের ফলে বিশ্বজুড়ে শিশুদের জীবনে যে পরিবর্তন আসছে তা গ্রাম্য শিশু শামীমের একটি পোর্টেট ছবিতে ফুটে উঠেছে।
বিশ্বজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তার জন্য আরব আমিরাতের শাসক, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের প্রতিষ্ঠিত ‘দুবাই কেয়ার’ বুধবার দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। এক দশক আগে যাত্রা শুরু এ সংস্থাটি থেকে প্রথম যারা সহায়তা পেয়েছিল; শামীম তাদের একজন। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের এক কোটি ৬০ লাখ শিশু এ সংস্থাটির সহায়তা পেয়েছে।
শামীমের ভিডিও বার্তা শুনে আমিরাতের শাসক বলেন, ‘এই ছেলেটি আমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, সে কীভাবে বেড়ে উঠেছে। এটি আমাদের প্রথম দিনের যাত্রা শুরুর ফল; আমি দাতাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করছি, শিশুদের শিক্ষার জন্য আগামী দশ বছর আমাদের এ পথচলা অব্যাহত থাকবে। কারণ শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
দুবাই কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল গুর্জ বলেন, শেইখ মোহাম্মদের লক্ষ্য ছিল দশ লাখ দরিদ্র শিশুকে সহায়তা দেয়া। কিন্তু আমরা এই সংখ্যা অতিক্রম করেছি। যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়নশীল ৪৫টি দেশের এক কোটি ৬০ লাখ শিশুকে সহায়তা করা হয়েছে।
আল গুর্জ বলেন, ‘বিশ্বের ২৬ কোটি ৩০ লাখ শিশু শিক্ষাবঞ্চিত। আমরা এতে পরিবর্তন আনতে চাই।’
এসআইএস/জেআইএম