নারায়ণগঞ্জে আরো ৩ লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা ১১


প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৫

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জ খেয়াঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় শুক্রবার আরো তিনজনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী ও ২ জন যুবক। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১। এখনো আরো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা জানিয়েছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জামিলা খাতুন (৬৫) নামে আরো এক বৃদ্ধা এবং বিকেলে রাসেল (২২) ও আলমগীর হোসেন (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়। আলমগীরের পিতা মৃত কোরবান আলী।
 
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মমতাজউদ্দিন লাশ দুটি উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এখনো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের লোকজন দাবী করেছেন। তাদের খোঁজে ফায়ার সার্ভিসের তল্লাশী অব্যাহত রয়েছে।

নিহত জমিলা খাতুন ঢাকার লালবাগ শহীদনগর এলাকার মৃত আবদুর রশিদের স্ত্রী। আর রাসেল একই এলাকার রাজকুমারের ছেলে।

এদিকে নিখোঁজ চার পরিবারের লোকজন ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছে লালবাগ শহীদ নগর এলাকার মৃত. ওহায়েদ আলীর ছেলে সামাদ মিয়া (২০), মানিক মিয়ার ছেলে কাজল (২৮) ও মৃত. হোসেন আলীর ছেলে জালাল (৫৫)। তাদের আহাজারিতে বুড়িগঙ্গার তীরের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে মতলবের লেংটার মেলা থেকে ঢাকা লালবাগ যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার আলীগঞ্জ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৮জনের লাশ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২০হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।