জর্ডানে বৈধতা পাচ্ছে ৮ হাজার বাংলাদেশি


প্রকাশিত: ০৫:০৩ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৫

জর্ডানে অবৈধভাবে অবস্থানরত ৭-৮ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দেবে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সফররত জর্ডান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এ সময় দেশটিতে বাংলাদেশের নারীশ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তিও সই হয়। প্রবাসী কল্যাণ সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার এবং ঢাকায় সফররত জর্ডানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক গভর্নর ওয়ালিদ আবেদা এ চুক্তিতে উভয় দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

খন্দকার ইফতেখার হায়দার বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় ট্যুরিস্ট ও অন্যান্য ভিসায় গিয়ে ৭ থেকে ৮ হাজার বাংলাদেশি আর ফিরে আসেননি। অবৈধভাবে দেশটিতে কর্মরত থাকা এ সব শ্রমিকের বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জর্ডান সরকার।  

ইতোমধ্যে এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষ হলে বাংলাদেশ থেকে কনস্ট্রাকশন ও কৃষি খাতে পুরুষশ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্তও তাদের রয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে জর্ডানেই বাংলাদেশী নারী শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদে রয়েছেন। আজকের বৈঠকে বাংলাদেশী নারী শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ, প্রশিক্ষণ, মেডিকেল চেকআপ ও অবৈধ পুরুষ শ্রমিকদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সচিব আরো বলেন, নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো মেডিকেল চেকআপ অনেক ক্ষেত্রেই জর্ডানের চেকআপের সঙ্গে মিল থাকে না।

প্রতিনিধি দলের এ বিষয়টিতে উদ্বেগের কারণে মেডিকেল চেকআপ ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেডিকেল চেকআপের সফট কপি বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়, বিএমইটি ও জর্ডানে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে। শ্রমিকরা যাওয়ার পর তাদের হার্ড কপির সঙ্গে সফট কপি মিলিয়ে দেখা হবে।

জর্ডানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক গভর্নর ওয়ালিদ আবেদা বলেন, বৈঠকে আমরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, মেডিকেল ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেছি। মেডিকেল চেকআপের বিষয়টি উভয় দেশের সমন্বয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণে ভবিষ্যতে প্রতিনিধি দল আসবে ও আমাদের উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

এসএস/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।