ইয়েমেন থেকে প্রবাসীদের দেশে আনার চেষ্টা চলছে
গত এক সপ্তাহ ধরে ইয়েমেনের শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বে বিমান হামলা চলছে। তবে রাজধানী সানা আর বেশ কয়েকটি শহর এখনো রয়েছে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। বিদ্রোহীরা এডেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসও দখল করে নিয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে। এই অবস্থায় ইয়েমেনে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি।
ইয়েমেনে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। তবে দেশটিতে আটকেপড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ইয়েমেনে একজন অনারারি কাউন্সিলর থাকলেও যুদ্ধের পর থেকেই তার সাথে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় বাংলাদেশিদের বিষয় দেখভাল করা হচ্ছে কুয়েতে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে।
কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. আসহাব উদ্দিন বলছেন, এখন পর্যন্ত তারা রাজধানী সানা ও এডেন মিলিয়ে প্রায় চারশো বাংলাদেশির তালিকা করেছেন। তিনি বলেন, ভারত বা চীনকে অনুরোধ করে তাদের বিমান বা জাহাজে করে বাংলাদেশিদের সরিয়ে আনতে তারা কুটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকেও জাহাজ বা বিমানে তাদের আনার চেষ্টা করা হবে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দূতাবাসের একটি দল, ইয়েমেনের প্রতিবেশী দেশ জিবুতি যাবে। যেখান থেকে তারা পুরো বিষয়টি সমন্বয় করবে। তবে এখনো বাংলাদেশিদের সরিয়ে আনার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ইয়েমেনে এখনো কতজন বাংলাদেশি আটকে রয়েছেন, সেই সংখ্যা নিয়ে দুইরকম তথ্য পাওয়া গেছে। কুয়েত দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি হবে না। তবে ইয়েমেনের প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, সেখানে বৈধ অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা দশ হাজারের বেশি হবে।
এর মধ্যেই কয়েকটি বিশেষ বিমানে ভারতীয়দের সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা পাননি বাংলাদেশি নাগরিকরা।
এ দিকে সানা ও অন্য শহরগুলোতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। আইওএম জানিয়েছে, ইয়েমেনে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও যে কয়েকটি দেশের নাগরিক আটকে পড়েছেন তাদের কোন পদ্ধতিতে সেখান থেকে বের করে আনা যায়, এখন তারা সেটি নির্ণয়ের চেষ্টা করছেন।
বিএ/আরআই