সুইজারল্যান্ডে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গণভোট


প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সুইজারল্যান্ডে কঠোর নাগরিকত্ব আইন শিথিল করা হবে কিনা এমন ইস্যুতে দেশটির জনগণ ভোট দিচ্ছেন।

সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলেও সেদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া যায় না। যারা বিদেশি, নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনের জন্য তাদেরকে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়।

এছাড়াও আবেদনকারীকে নানা ধরনের পরীক্ষা দিতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকেও তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আর এসব কিছু করতে গিয়ে খরচ হয়ে যেতে পারে প্রচুর অর্থও। প্রস্তাবিত নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসীদেরকে আর এধরনের আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে না।

এই আইনটি পাস হলে যারা সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছে, যাদের পিতামাতা বা দাদা দাদী নানা নানী এই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছে তাদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।

এর পক্ষে বিপক্ষে প্রচারণা চলছিলো দীর্ঘ সময় ধরে। সমর্থকরা বলছেন, এই দেশে যাদের জন্ম হয়েছে, যারা তাদের পুরো জীবনটাই এদেশে কাটিয়েছেন তারা যে সমাজের সাথে মিশে গেছেন তাদেরকে সেটা প্রমাণ করতে বলা গ্রহণযোগ্য নয়।

তবে বিরোধিতাকারীরা বলছেন, এর ফলে জনগণের বিশাল একটা অংশ খুব সহজেই নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। সরকারি হিসেবে দেখা যায়, মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশই সুইজারল্যান্ডের নাগরিক নন।

অনেকে বলছেন, এর ফলে দেশটিতে ইসলামীকরণেরও আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। এর বিরোধিতা করে প্রকাশিত এক পোস্টারে নিকাব পরিহিত এক মহিলার ছবি ছাপা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডে তৃতীয় প্রজন্মের বেশিরভাগ বাসিন্দাই ইটালিয়ান বংশোদ্ভূত অভিবাসী। আরো দুটো বড় গ্রুপ এসেছে বলকান অঞ্চল এবং তুরস্ক থেকে।

স্থানীয় শহর কর্তৃপক্ষ নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে অভিবাসীদের পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এসময় আবেদনকারীদের কাছে স্থানীয় চিজ বা মাখন এবং পাহাড়ের নাম জানতে চাওয়া হয়।

এর আগে গত ৩০ বছরে এই আইনটি শিথিল করার ব্যাপারে তিনবার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই জনগণ সেই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এবারের জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, যে কোনই দিকই শেষ পর্যন্ত জিতে যেতে পারে। বড় বড় শহরগুলো এর পক্ষে আর রক্ষণশীল গ্রামীণ এলাকা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে। বিবিসি বাংলা।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।