শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ২ স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী চরকানছিড়া গ্রামের দুই স্কুলছাত্রী তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
নিখোঁজ স্কুলছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার রাতে শিবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নিখোঁজ ওই দুই ছাত্রীর নাম লতিফা (৯) ও আঁখি (৯)। তারা চর বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং লতিফা পাঁকা ইউনিয়নের চরকানছিড়া ডাক্তার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফের মেয়ে ও আঁখি একই গ্রামের আশরাফুল আলমের মেয়ে। শনিবার (২৮মার্চ) সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে তারা আর ফেরেনি।
পাঁকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, চরকানছিড়া ডাক্তারপাড়া গ্রামটি পদ্মার তীরে সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। নিখোঁজ দুই শিশু পাচারকারীদের কবলে পড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লতিফা ও আখি শনিবার সকালে বই-খাতা নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু দুপুরে গড়িয়ে বিকাল হলেও তারা বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন প্রথমে স্কুলে গিয়ে তাদের খোঁজ নেন। স্কুলের শিক্ষকরা জানায়, লতিফা ও আঁখি ওইদিন স্কুলে যায়নি। এতে দুই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন আশপাশের গ্রামে ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাদের খোঁজ করেন। কোথায়ও খোঁজ না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
লতিফার বাবা আব্দুল লতিফ জানান, সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তারা স্কুলে যায়নি। গ্রামের লোকজন সকালের দিকে তাদের গ্রামের দক্ষিণে মাঠে ধান ক্ষেতে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। কিন্তু তারা পরে আর বাড়িতেও ফিরে আসেনি। গত তিন দিন ধরে বহু খোঁজাখুঁজির পরও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুই শিশু শিক্ষার্থীর নিখোঁজের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় রোববার শিবগঞ্জ থানায় পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেছেন লতিফার বাবা আব্দুল লতিফ ও আঁখির বাবা আশরাফুল আলম।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ দুই শিশু ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এসএইচএ/আরআইপি