বার্সার সহজ জয়
মেক্সিকোর ক্লাব লিওনকে ৬-০ গোলে সহজেই হারিয়ে জুয়ান গাম্পের ট্রফি জিতে নিয়েছে স্বাগতিক বার্সেলোনা।
অল্প সময়ের জন্য হলেও কোচ লুইস এনরিকে মাঠে নামিয়েছিলেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেসকে। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইতালির জর্জো কিয়েল্লিনিকে কামড়ানোর কারণে ফিফার নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর এই প্রথম কোনো ম্যাচ খেললেন তিনি, হলো বার্সেলোনা অভিষেকও।
এবারের প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি পর্বে ঘরের মাঠে এটাই বার্সেলোনার প্রথম প্রীতি ম্যাচ। আর লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নামার আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। তাই হয়ত পুরো ক্যাম্প নউয়ের গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। তাছাড়া গত মৌসুমে ইংল্যান্ড মাতিয়ে আসা সুয়ারেস বার্সেলোনার হয়ে কেমন খেলে, সেটার দেখার আগ্রহ অনেক সমর্থককেই মাঠে টেনে আনে।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসা বার্সেলোনা তৃতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পায়। নেইমারের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে চলে যায় মেসির কাছে। ডি বক্সের মাঝ থেকে বল জালে পাঠাতে আর্জেন্টিনার তারকার কোনো ভুলই হয়নি।
নয় মিনিট বাদে আবারো গোল, এবারের গোলদাতা ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার দারুণ একটি পাস ঠাণ্ডা মাথায় চিপ করে বল জালে জড়ান নেইমার।
বিরতির মিনিট খানেক বাকি থাকতে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করে জয়টা নিশ্চিত করে ফেলেন নেইমার। মেসির বাড়ানো বল পেয়ে ব্যাকহিল করে লক্ষ্যভেদ করেন বিশ্বকাপে দেশের হয়ে চার গোল করা এই তারকা।
আর দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন ১৮ বছর বয়সী মুনির হাদ্দাদি এবং একটি গোল করেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড সান্দ্রো রামিরেস।
নির্ধারিত সময় শেষের ১৩ মিনিট আগে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার আফিনিয়ার বদলে সুয়ারেসকে মাঠে নামান কোচ লুইস এনরিকে। অবশ্য নতুন দলের হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমে তেমন কোনো চমক দেখাতে পারেননি এই স্ট্রাইকার।