মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে সারচার্জ আদায়ে আইন অনুমোদন
মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ওপর এক শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপের বিধান রেখে নতুন একটি আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মতি বৈঠকে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন, ২০১৫’ এর খসড়ার এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে যে বিল নিচ্ছে তার সঙ্গে এই এক শতাংশ সারচার্জ যোগ হবে। আর এ থেকে যে আয় হবে তা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করবে সরকার।
তিনি বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলোর সব ধরনের সেবায় সারচার্জ আরোপ হবে। তফসিল অনুযায়ী সরকার এটি চূড়ান্ত করবে। সরকার মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে এই সারচার্জ আদায় করবে। মোবাইল ফোনে যতো ধরনের সেবা রয়েছে তার সবগুলোর ওপরই এই সারচার্জ প্রযোজ্য হবে।
তিনি বলেন, আইনের আওতায় মোবাইল অপারেটর কর্তৃক সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থের ওপর এক শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
এ বাবদে বছরে অতিরিক্ত ১৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে। জাতীয় সংসদে আইন পাস হলে এই সারচার্জ কার্যকর হবে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
সুনির্দিষ্ট কোনো খাতে জনগণের কাছ থেকে অর্থ তুলতে সারচার্জ আরোপ করে সরকার। এক সময় যমুনা সেতু (বঙ্গবন্ধু সেতু) তৈরিতে সরকার সারচার্জ আরোপ করেছিল। তখন বাস-ট্রেনের টিকিট, সিনেমার টিকিট কাটার সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হতো, যা যমুনা সেতুর তহবিলে যেত।
চলতি বাজেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ওপর সারচার্জ আরোপের এই প্রস্তাব করেন। সংসদে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, মোবাইল ফোনের আমদানির ওপর শুল্ক কিছুটা হ্রাস করতে পারেন। মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ওপর সারচার্জ বসাতে পারেন। এ থেকে যে রাজস্ব আসবে সেটা শিক্ষা ও স্বাস্থ খাতের উন্নয়নে ব্যবহার করতে পারি।
এসএ/বিএ/আরআইপি
