আইএসের হাতে অপহৃত লিটনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি
লিবিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসের হাতে অপহৃত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আনোয়ার হোসেন লিটন ২০ দিন পর মুক্ত হওয়ার খবরে খুশি তার পরিবার। তার গ্রামের বাড়ির মা-বাবাসহ স্বজনদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এখন তাদের একটাই দাবি দ্রুত যেন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
সরেজমিনে আনোয়ার হোসেন লিটনের গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গয়েচপুর গ্রামে আমজাদ হাজি বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় খুশির আমেজ। যে বাড়িতে গত ২০ দিন ধরে কান্নার আওয়াজ শোনা যেত সে বাড়ির সবাই এখন হাসিখুশি। জঙ্গিদের হাত থেকে সবার আদরের আনোয়ার হোসেন লিটন মুক্ত হয়েছনি এ খবরে পরিবার পরিজনের মাঝে যে উৎকন্ঠা ছিলো এখন আর তা নেই।
আনোয়ার হোসেন লিটনের বাবা মোঃ ইউনুস সন্তানের এ ঘোরতর বিপদে অনকেটা শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। তিনি জানান রাতে আনোয়ার হোসেন লিটনের মুক্ত হওয়ার খবরে এখন তার শরীর ও মন অনেকটা ভালো হয়ে পড়েছে। তিনি হাত তুলে আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করেন। পাশাপাশি সরকারকে ধন্যবাদ জানান, তার ছেলেকে মুক্ত করার জন্য। এখন তার একটাই দাবি দ্রুত তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।
পাশেই বসে ছিলেন মা আফরোজা বেগম। তিনিও জানান, গত বিশ দিন ধরে সব রকমের নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছেন। তিনি সন্তানকে যেন জীবিত অবস্থায় ফিরে পান সেই দোয়া করেছেন। অনেক মানতও করেছেন তিনি। আল্লাহর তার ও এলাকাবাসীর কথা শুনেছেন। তার ছেলে মুক্ত হয়েছেন। এখন কবে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে মা বলে ডাকবে সে আশায় বসে আছেন।
কলেজ পড়ুয়া ছোট ভাই আমির হোসেন জানান, ঢাকার মাতুইয়ালে অবস্থানরত তার ভাবির মোবাইলে মঙ্গলবার রাতে লিবিয়ার হাই-কমিশন থেকে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হয় আনোয়ার হোসেন মুক্ত হয়েছনি। তাকে ত্রিপোলী থেকে ৭`শ কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ খবর তার ভাবী গ্রামের বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ লিবিয়ার বেনহাজি শহর থেকে প্রায় ১২`শত কিলোমিটার দূরে আলঘানি শহর থেকে সেনা পোশাক পড়া ৭ থেকে ৮ জন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন লিটন সহ ১০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ।
এমজেড/আরআই