কুয়েতে প্রিন্সকে হত্যায় অভিযুক্ত অপর প্রিন্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর


প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

রাজপরিবারের এক প্রিন্সকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত অপর এক প্রিন্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে কুয়েত। বৃহস্পতিবার কুয়েতে প্রিন্স শেইখ ফয়সাল আল আব্দুল্লাহ আল সাবাহসহ আরো ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে কর্তৃপক্ষ।

খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোনের ছেলেকে হত্যায় অভিযুক্ত ওই প্রিন্সকে ২০১১ সালে দেশটির একটি আদালত সর্বোচ্চ সাজা দেয়।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে ২০১১ সালে দেশটির ক্রিমিনাল কোর্ট প্রিন্স শেইখ ফয়সালকে ভাগ্নে শেইখ সালেম সাবাহ আল সালেম আল সাবাহকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। শেখ ফয়সাল দেশটির সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে ক্যাপ্টেন পদে কর্মরত ছিলেন। নিহত প্রিন্সের চেয়ে ২০ বছরের বড় তিনি।

কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ২০১০ সালের জুনে একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন এ দুই প্রিন্স। পরে একান্তে আলাপচারিতার জন্য অন্য একটি কক্ষে প্রিন্স ফয়সাল ডেকে নেন শেইখ সালেমকে। কিছুক্ষণ পরেই ওই কক্ষে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়।

সেসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কক্ষে হাত ধোঁয়ার পর পরই সালেমকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ফয়সাল। সেনাবাহিনীর পিস্তল থেকেই তাকে গুলি চালিয়েছিলেন এই কুয়েতি প্রিন্স। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই সেখানে বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি পৌঁছান।

পরে মেডিকেল কর্মকর্তারা জানান, একেবারে কাছে থেকে সালেমকে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। তার শরীরে ৫ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি বিদ্ধ হয়।

২০১০ সালে এ ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন প্রিন্সকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।